বাংলাতে কথা বলি, বাংলা পড়ি, তাই বাংলাতে লিখব। যা মনে আসে। চেষ্টা করব আপনাদের আনন্দ দিতে।পড়ে নীচে কমেন্ট দিতে ভুল করবেন না প্লীজ।
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৪
কলকাতার রেলপথের ইতিহাস
১৮৬৩র ৫
ফেব্রুয়ারি হাওড়া থেকে লর্ড এলগিন আর চীফ ইঞ্জিনিয়ার টার্নবুল কে নিয়ে বিশেষ ট্রেন
বেনারস রওয়ানা হল। প্রথম রাত জামালপুরে কাটিয়ে পরের দিন বেনারস তারা পৌছলেন। ১৮৬৬
তে দিল্লী পর্যন্ত লাইন চলে গেল। ইতিমধ্যে ১৮৬৭ সালে এলাহাবাদ থেকে জব্বলপুর
পর্যন্ত লাইন হওয়াতে মুম্বাই আর কলকাতা এলাহাবাদ হয়ে যুক্ত হয় গেল। জুলে ভার্ণের
৮০ দিনে পৃথিবী প্রদক্ষিন লেখা তার আগেই হয়েছে। ১৮৭৯ সালে বৃটিশ সরকার ইষ্ট
ইন্ডিয়ান রেলয়ে কিনে নিয়ে আবার কোম্পানীকেই লীজে কাজ চালানর জন্য দেন।
এদিকে ১৮৫৩ সালে মুম্বাই থেকে থানে পর্যন্ত ট্রেন চলার পরে
লাইন ধীরে ধীরে আগে এগোতে সুরু করল। ভূসয়াল থেকে একটা লাইন নাগপুরের দিকে আর একটা জব্বলপুরের
দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করে দিল। ঈষ্ট ইন্ডিয়ান রেলয়ে এলাহাবাদথেকে জব্বলপুরের লাইন
সংযোগ করাতে মুম্বাই আর কলকাতা ট্রেন চলাচলে
যুক্ত হয়ে গেল।
ইতিমধ্যে ১৮৭৮ সালের দুর্ভিক্ষে সস্তা শ্রমিক পাবার কল্যানে
নাগপুর থেকে রাজনন্দগাঁও পর্যন্ত নাগপুর ছত্তিশগড়
রেলয়ে ১৮৮২ সালের মধ্যে মিটার গেজে ট্রেন চালাতে শুরু করল।
নাগপুর ছত্তিশগড় রেলয়ে ছিল গ্রেট ইন্ডিয়ান রেলয়ের মালিকানায়।
১৮৮৭ সালে বেঙ্গল নাগপুর রেলয়ে তৈরী হয় এবং তারা এই নাগপুর ছত্তিশগড় রেলয়ে কিনে
নিয়ে তাকে ব্রড গেজে রূপান্তরিত করেন।
বেঙ্গল নাগপুর রেলয়ের মুল লক্ষ ছিল লাইনটাকে বাড়িয়ে বিলাসপুর
হয়ে আসানসোল পর্যন্ত নিয়ে যাবার যাতে, কলকাতা আর মুম্বাইএর মধ্যে একটা কম দূরত্বের
লাইন পাওয়া যায়। এই উদ্দেশে কাজ এগোতে লাগল আর ১৮৯১ সালের মধ্যে প্রথম মালগাড়ি
আসানসোল থেকে নাগপুর পর্যন্ত চলা সুরু করল। ১৯০০ সালে বেঙ্গল নাগপুর রেলয়ে হাওড়াতে
এসে যুক্ত হল। পরের বছর মহানদির উপরে ব্রিজ তৈরী হয়ে যাবার পরে হাওড়া মাদ্রাজ রেল
যোগাযোগ সম্পুর্ন হল।
এতদিন ধরে হাওড়া ষ্টেশনের উপর যাত্রীর সংখ্যা যা ছিল, বেঙ্গল নাগপুর রেলয়ে তাদের ট্রেন চালান শুরু
করার পরে তার অনেক বৃদ্ধি পেল। কাজে কাজেই
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ভাবা হল
এক নতুন ষ্টেশনে তৈরির কথা।
১৯০১ সালে লন্ডনের আর্কিটেক্ট হ্যালসী রিকার্ডো কে ভার দেওয়া
হল হাওড়া ষ্টেশনের নক্সা বানাতে। সেই
অনুযায়ী কাজ শুরে হয়ে ১৯০৫ সালের ১ ডিসেম্বর নতুন হাওড়া ষ্টেশনের উদ্বোধন হল , যদিও ১৯১১ পর্যন্ত ষ্টেশনের কাজ
হয়েছে।, পৃথিবীর যে কোন তৎকালীন ষ্টেশনের সাথে তাল রেখে এই ডিজাইন, আজও কলকাতার
যাত্রী পরিবহন করে যাচ্ছে। তখনকার দিনে এই হাওড়া ষ্টেশন তৈরি করতে প্রায় পৌনে লাখ টাকার মতন খরচ হয়েছিল।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
উত্তরমুছুনবাংলায় ভালো ভালো হাঁসির গল্প পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
বাংলায় ভূতের গল্প পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
বাংলায় প্রেমের গল্প পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন