পাঁচফুল রাণী
এক রাজ্যে রাজার
দুটো বৌ ছিল। কিন্তু রাজা মশাই তার ছোট বউকে বেশী ভালবাসতেন। বড় রাণীর একটা ছেলে
ছিল। কিন্তু সে ছোট বউয়ের ছেলে নয় বলে রাজামশাই তাকেও মোটেই ভালবাসতেন না। মনের
দুঃখে একদিন সেই ছেলে তার মাকে বলে, “দেখ মা, আমাকে তো বাবা
মোটেই ভালবাসেন না। তাহলে আমি নাহয় অন্য কোন রাজ্যে গিয়ে আমার ভাগ্যে কি আছে তাই
দেখে নি”।
বড়রাণী তখন রাজামশাইকে জিজ্ঞেস করে, “ছেলেটা বিদেশে তার ভাগ্য পরীক্ষা করতে যাবে, তোমার মত আছে তো”। রাজামশাই বলেন, “আমার তো কোন আপত্তি নেই, কিন্তু ঐ ছেলে যে রকম অকাজের তাতে ও যে কোথাও গিয়ে কিছু করতে পারবে তা আমার মনে হয় না। আর আমি কিন্তু ওকে নষ্ট করার জন্য একটাও পয়সা দিতে পারব না”।
বড় রাণী ছেলেকে ডেকে বলে, “তোমার বাবা মত দিয়েছেন। কাজেই এবার তুমি তোমার জামাকাপড় গুছিয়ে নিতে পার। আমি তোমার জন্য খাবার করে দিচ্ছি”। এই বলে রাণি তার জন্য কিছু রুটী বানিয়ে দিলেন। আর প্রত্যেকটা রুটীর মধ্যে একটা করে সোনার মোহর রেখে দিলেন, যাতে রুটীটা ভাঙ্গলেই সে মোহরটা বেড়িয়ে আসে। ছেলে সব কিছু নিয়ে তার যাত্রা শুরু করে দিল।
চলতে চলতে সে তার বাবার রাজ্য পার হয়ে গিয়ে পৌছাল অন্য এক রাজার রাজ্যে। এখন সে হচ্ছে রাজার ছেলে, তাই নিয়ম অনুযায়ী যে দেশে যাবে সেই দেশের রাজাকে বলা উচিত যে অন্য এক রাজার ছেলে হিসাবে সে এসেছে। কিন্তু সেটা না করে, রাজকুমার গিয়ে হাজির হল রাস্তার ধারেই এক ঘরে। ঘরটা ছিল এক কাঠের মিস্ত্রীর, আর সেখানে ঢুকে সে রাতটা থাকার জন্য আশ্রয় চাইল।
মিস্ত্রী ব্যাস্ত ছিল তার কাজে। তাও সে বলে উঠল, হ্যাঁ বেটা, তুমি যদি আমাকে সাহায্য করতে চাও তবে এখানে থাকতে পার। আর যদি তোমার খাবারের দরকার থাকে, তবে ঘরে আমার স্ত্রী আর মেয়ে আছে। তাদের কাছে তুমি চাইলে তারা তোমাকে খাবার বানিয়ে দেবে। রাজকুমার ঘরে ঢুকে ঐ মিস্ত্রির মেয়েকে বলে, “আমি অনেকটা পথ চলে এসেছি, তাই খুব ক্লান্ত। তুমি আমার জন্য কিছু খাবার রান্না করে দাওনা, আমি তার জন্য তোমাকে পয়সা দেব”।
মেয়ে বলে, “আমি তো রান্না করে দিতে পারি কিন্তু ঘরে যে একটুকুও কাঠ নেই, আর জঙ্গলও খুব দূরে। এই রাতের বেলায় আমি কি জ্বেলে রান্না চড়াব”। রাজকুমার বলে, “আমি বন্দোবস্ত করে দিচ্ছি”। এই বলে মিস্ত্রী যে সমস্ত কাঠের খড়ম বানিয়েছিল তার থেকে এক জোড়া নিয়ে, তাই দিয়ে আগুন জ্বেলে দিল। আর মেয়ে তার রান্না শেষ করে রাজকুমারকে খেতেও দিল।
পরেরদিন সক্কাল বেলায় রাজকুমার উঠে আগে জঙ্গলে গিয়ে কাঠ কেটে নিয়ে এল। আর তার পরে সুন্দর দেখে এক জোড়া খড়ম বানিয়ে অন্য খড়মের সাথে রেখে দিল। মিস্ত্রী ঘুম থেকে ওঠার আগেই এই সব কাজ শেষ। কিছুক্ষন বাদে রাজামশাইয়ের কাছ থেকে এক জন লোক এল একজোড়া খড়ম কিনতে।
সব খড়ম দেখে লোকটা রাজকুমার যে নতুন খড়মজোড়া বানিয়েছিল, সেটাই পছন্দ করল। লোকটা বলে, “আমি এই সুন্দর খড়মের জোড়াটাই রাজামশাইয়ের জন্য পছন্দ করলাম। মিস্ত্রী ভাই, তোমার অন্য খড়মের জোড়াগুলো সব সময় যদি এত সুন্দর হত”? এই বলে দশটা সোনার মোহর দিয়ে সেই খড়মজোড়া কিনে নিয়ে চলে গেল।
চলবে--
(ভারবর্ষের
রূপকথা)
বড়রাণী তখন রাজামশাইকে জিজ্ঞেস করে, “ছেলেটা বিদেশে তার ভাগ্য পরীক্ষা করতে যাবে, তোমার মত আছে তো”। রাজামশাই বলেন, “আমার তো কোন আপত্তি নেই, কিন্তু ঐ ছেলে যে রকম অকাজের তাতে ও যে কোথাও গিয়ে কিছু করতে পারবে তা আমার মনে হয় না। আর আমি কিন্তু ওকে নষ্ট করার জন্য একটাও পয়সা দিতে পারব না”।
বড় রাণী ছেলেকে ডেকে বলে, “তোমার বাবা মত দিয়েছেন। কাজেই এবার তুমি তোমার জামাকাপড় গুছিয়ে নিতে পার। আমি তোমার জন্য খাবার করে দিচ্ছি”। এই বলে রাণি তার জন্য কিছু রুটী বানিয়ে দিলেন। আর প্রত্যেকটা রুটীর মধ্যে একটা করে সোনার মোহর রেখে দিলেন, যাতে রুটীটা ভাঙ্গলেই সে মোহরটা বেড়িয়ে আসে। ছেলে সব কিছু নিয়ে তার যাত্রা শুরু করে দিল।
চলতে চলতে সে তার বাবার রাজ্য পার হয়ে গিয়ে পৌছাল অন্য এক রাজার রাজ্যে। এখন সে হচ্ছে রাজার ছেলে, তাই নিয়ম অনুযায়ী যে দেশে যাবে সেই দেশের রাজাকে বলা উচিত যে অন্য এক রাজার ছেলে হিসাবে সে এসেছে। কিন্তু সেটা না করে, রাজকুমার গিয়ে হাজির হল রাস্তার ধারেই এক ঘরে। ঘরটা ছিল এক কাঠের মিস্ত্রীর, আর সেখানে ঢুকে সে রাতটা থাকার জন্য আশ্রয় চাইল।
মিস্ত্রী ব্যাস্ত ছিল তার কাজে। তাও সে বলে উঠল, হ্যাঁ বেটা, তুমি যদি আমাকে সাহায্য করতে চাও তবে এখানে থাকতে পার। আর যদি তোমার খাবারের দরকার থাকে, তবে ঘরে আমার স্ত্রী আর মেয়ে আছে। তাদের কাছে তুমি চাইলে তারা তোমাকে খাবার বানিয়ে দেবে। রাজকুমার ঘরে ঢুকে ঐ মিস্ত্রির মেয়েকে বলে, “আমি অনেকটা পথ চলে এসেছি, তাই খুব ক্লান্ত। তুমি আমার জন্য কিছু খাবার রান্না করে দাওনা, আমি তার জন্য তোমাকে পয়সা দেব”।
মেয়ে বলে, “আমি তো রান্না করে দিতে পারি কিন্তু ঘরে যে একটুকুও কাঠ নেই, আর জঙ্গলও খুব দূরে। এই রাতের বেলায় আমি কি জ্বেলে রান্না চড়াব”। রাজকুমার বলে, “আমি বন্দোবস্ত করে দিচ্ছি”। এই বলে মিস্ত্রী যে সমস্ত কাঠের খড়ম বানিয়েছিল তার থেকে এক জোড়া নিয়ে, তাই দিয়ে আগুন জ্বেলে দিল। আর মেয়ে তার রান্না শেষ করে রাজকুমারকে খেতেও দিল।
পরেরদিন সক্কাল বেলায় রাজকুমার উঠে আগে জঙ্গলে গিয়ে কাঠ কেটে নিয়ে এল। আর তার পরে সুন্দর দেখে এক জোড়া খড়ম বানিয়ে অন্য খড়মের সাথে রেখে দিল। মিস্ত্রী ঘুম থেকে ওঠার আগেই এই সব কাজ শেষ। কিছুক্ষন বাদে রাজামশাইয়ের কাছ থেকে এক জন লোক এল একজোড়া খড়ম কিনতে।
সব খড়ম দেখে লোকটা রাজকুমার যে নতুন খড়মজোড়া বানিয়েছিল, সেটাই পছন্দ করল। লোকটা বলে, “আমি এই সুন্দর খড়মের জোড়াটাই রাজামশাইয়ের জন্য পছন্দ করলাম। মিস্ত্রী ভাই, তোমার অন্য খড়মের জোড়াগুলো সব সময় যদি এত সুন্দর হত”? এই বলে দশটা সোনার মোহর দিয়ে সেই খড়মজোড়া কিনে নিয়ে চলে গেল।
চলবে--
উত্তরমুছুনবাংলায় ভালো ভালো হাঁসির গল্প পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
বাংলায় ভূতের গল্প পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
বাংলায় প্রেমের গল্প পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন