রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

প্রেমের জন্য


আজকে সকালে কিম্বা কাল বিকালে
যেটাই হোক না কেন, কোন একটা কালে
একথাটা মনে হয়েছিল আমার
প্রেম প্রেম ভাব জাগছে মনে এবার।

খুজতে লাগলাম পেন্সিল আর খাতা
লিখতে হবে আমাকে প্রেমের কবিতা
কেননা সবাই বলে প্রেম এলে পরে
কবিতা লিখবে তুমি হিসাবের খাতা ভরে।

পরামর্শ নিতে গেলাম বিশুর দাদার কাছে একবার
প্রেমে সে গোঁত্তা খেয়েছে কম করে বিশ বার।

বললেন এসে বিশুর দাদা শম্ভূ গোঁসাই
আমার কথাটা মন দিয়ে শোন রে ভাই
এরকম কবিতা লিখলে পরে
প্রেম যে তোর যাবে রে উড়ে।

কবিতা টবিতা কিসসু চাইনা
গান গাইতে তুই জানিস কিনা
চুলগুলোতে লাগবি না তেল
দেখাতে হবে তোকে পারফেক্ট আঁতেল
জোগাড় করে নে একটা খঞ্জনী
শুরু করে দে গানটা এখনই
আমার সাধ না মিটিল
সময় ফুরাইল
দেখতে পাবি তোর গানের পরে
প্রেমিকারা আসছে লাইন ধরে।

খুজছি এখন খঞ্জনী, কেউ কি দেবে ধার
ট্রাই করে দেখি আমার লাক, অন্তত একবার।।



বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

মুক্তপদ্যের সংজ্ঞা


ছন্দ মিলিয়ে কবিতা লেখা মোটেই শক্ত নয়
বরং গদ্যে একটা গল্প লেখা কঠিন মনে হয়।
বানান দেখ, গুরুচন্ডালী দোষ দেখ
এসব মেনে কি লিখবে, তাও মনে রেখ।
কবিতাতে এসবের জন্য কোন চিন্তা নাই
যা খুসী তাই লিখে ফেললে, হাততালি পাবে ভাই।
বুঝতে পারলে সেটা তোমার অতিসাধারণ লেখা হবে
আর কেউ না বুঝলে সেটা অসাধারন মুক্তপদ্য হবে।
মুক্তপদ্য, সেটা কি জিনিষ, শোন নিকো আগে
পদ্য তো কবিরা লিখত বহু বছর আগে
শব্দ গুনে, মিল রেখে, ব্যকরণ মেনে লেখা
এসব বাধানিষেধে পড়ছে মনের ভাবটা রোখা
আমার মত আনাড়ী কবিরা এখন ছন্দ মিলিয়ে লেখে
মুক্তপদ্য এখন শিখছি আমি, অন্যের দেখে দেখে
মাষ্টারমশাই বলেছেন, কাল থেকে রোজ
একটা মুক্তপদ্যের স্যাম্পল, দিতে হবে ডোজ
পাঠকেরা এবার নিজে বাঁচে কি আমাকে বাঁচায় সেটা তাদের ভার
ওয়ার্নিং দিয়ে দিয়েছি, কাজটা শেষ আমার।।

সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৩

ভ্রমণের প্রোগ্রাম


ক;দিন আগে হঠাত কিছু নগদ এসেছিল হাতে
গিন্নী বললেন, হ্যাঁগা, চলনা যাই কোথাও বেড়াতে
ছেলেমেয়েরা হয়েছে বড়
সব সময় থাকি জড়সড়
বাইরে গেলে তোমায় পাব আগের দিনের মত
যখন দুজনে হাত ধরাধরি করে হাঁটতে যাওয়া হত।

একি শুনি, পঞ্চাশোর্দ্ধ বৃদ্ধার মুখে অষ্টাদশীর কথা
মানতেই হবে, নয়তো পাবে মনে ভীষণ ব্যাথা।
বসে গেলাম খাতা কলম নিয়ে, কোথায় যাওয়া হবে
কি ভাবে যাব, আর কদিনের ট্যুর প্রোগ্রাম হবে।

গিন্নী বলেন চলনা যাই, আগে দেখিনি কখনো কাশ্মীর
আমি বলি ওরে বাবা, ওখানে আতঙ্কবাদীর ভীড়
তার চেয়ে যাইনা কেন চন্ডীগড় হয়ে শিমলা
কুফরীতে বরফের উপর ভাল করে যাবে খেলা।
গিন্নী বলেন, অসম্ভব, বরফের উপর মোটেই নয়
জাননা কি অল্প ঠান্ডাতেই তোমার ভীষণ কাশি হয়।
তার চেয়ে যাই সমূদ্রের ধারে, কাছেই আছে বকখালি
আমি বলি বাজে জায়গা, কিছু নেই খালি কাদা আর বালি।

সমূদ্র দেখতে হলে
 আবার যাই পূরী চলে
সাগর ধারে হাঁটতে পাবে
জগন্নাথ দেবের প্রসাদ পাবে
দুবেলা মাছভাত খাবে
আর কি চাই, টিকিট কাটি তবে?

গিন্নী বললেন খবরদার
মনে নেই কি হয়েছিল গতবার
ভাগ্যে কাছেই ছিল নুলিয়া ভাই
আমার শাঁখাসিঁদুরের রক্ষা তাই।
ক্ষেপে গিয়ে বলি যেওনা তুমি, আমি একাই যাব
 অন্য কাউকে না হয় সঙ্গে নেব
গিন্নী বললেন, সখ যে দেখছি খুব বেশী
ফোকলা মুখে ফুটছে হাসি.

ও সব কথা ছাড়, চলনা দুজনেই যাই কাশী
গঙ্গার ধারে বসে থাকব দুজনেতে পাশাপাশি
থাকার ব্যবস্থা ঠিকঠাক হলে
তোমার পেন্সনের টাকায় পোষালে
তোমায় আবার একা পেলে
আর কি ফিরে আসি?


রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৩

নতুন বাংলা অভিধান


 
গতকাল রাতে, কি এল মাথাতে
বসে গেলাম পড়াতে বাংলা, ছোট ছেলেটাকে
অজ আম শেষ করেছে
যুক্তাক্ষর চালু হয়েছে
গণ্ডগোল বেঁধে গেল এখানটাতে।

বাগাড়ম্বর শব্দ এল
মানেটা বোঝাতে হল
বললাম মানে হল বেশী কথা বলা,
ছেলে বলে মোটেই নয়
মানেটা তো শব্দের ভেতরেই হয়
তাহলে কি ভাবে হল বেশি কথা বলা।

বিশুকাকু বাংলায়
গুগলে লেখা দ্যায়
সে তো বলে দিল অন্য মানে,
কে যে ঠিক
আর কে যে ভুল
সেটা কেউ কোথাও কি জানে?
আমি বলি ব্যাটা
হয়েছিস ঢ্যাটা
পেয়েছিস কি মানে সেটা বল ?
ছেলে বলে ওটা হবে
বাঘের লোম ছিড়ে বানান কম্বল।
আমি শুনে হতবাক
বাঘের লোম কোথায় পেল আগে বোঝাক।

ছেলে বলে শব্দটাকে ভেঙ্গে দাও
দেখ তুমি কি কি পাও,
পেয়েছ কি বাঘা +রোম +বর,
বাঘা মানে বাঘ
রোম মানে লোম
আর আবরণের বর।
এইবার তুমি বল
হলনা কি বাঘের লোমের কম্বল।

ভাবছি এখন কে হবে মোর গুরু

বিশু না আমার ছেলে, কোথা থেকে করি শুরু।।