সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৩

ভ্রমণের প্রোগ্রাম


ক;দিন আগে হঠাত কিছু নগদ এসেছিল হাতে
গিন্নী বললেন, হ্যাঁগা, চলনা যাই কোথাও বেড়াতে
ছেলেমেয়েরা হয়েছে বড়
সব সময় থাকি জড়সড়
বাইরে গেলে তোমায় পাব আগের দিনের মত
যখন দুজনে হাত ধরাধরি করে হাঁটতে যাওয়া হত।

একি শুনি, পঞ্চাশোর্দ্ধ বৃদ্ধার মুখে অষ্টাদশীর কথা
মানতেই হবে, নয়তো পাবে মনে ভীষণ ব্যাথা।
বসে গেলাম খাতা কলম নিয়ে, কোথায় যাওয়া হবে
কি ভাবে যাব, আর কদিনের ট্যুর প্রোগ্রাম হবে।

গিন্নী বলেন চলনা যাই, আগে দেখিনি কখনো কাশ্মীর
আমি বলি ওরে বাবা, ওখানে আতঙ্কবাদীর ভীড়
তার চেয়ে যাইনা কেন চন্ডীগড় হয়ে শিমলা
কুফরীতে বরফের উপর ভাল করে যাবে খেলা।
গিন্নী বলেন, অসম্ভব, বরফের উপর মোটেই নয়
জাননা কি অল্প ঠান্ডাতেই তোমার ভীষণ কাশি হয়।
তার চেয়ে যাই সমূদ্রের ধারে, কাছেই আছে বকখালি
আমি বলি বাজে জায়গা, কিছু নেই খালি কাদা আর বালি।

সমূদ্র দেখতে হলে
 আবার যাই পূরী চলে
সাগর ধারে হাঁটতে পাবে
জগন্নাথ দেবের প্রসাদ পাবে
দুবেলা মাছভাত খাবে
আর কি চাই, টিকিট কাটি তবে?

গিন্নী বললেন খবরদার
মনে নেই কি হয়েছিল গতবার
ভাগ্যে কাছেই ছিল নুলিয়া ভাই
আমার শাঁখাসিঁদুরের রক্ষা তাই।
ক্ষেপে গিয়ে বলি যেওনা তুমি, আমি একাই যাব
 অন্য কাউকে না হয় সঙ্গে নেব
গিন্নী বললেন, সখ যে দেখছি খুব বেশী
ফোকলা মুখে ফুটছে হাসি.

ও সব কথা ছাড়, চলনা দুজনেই যাই কাশী
গঙ্গার ধারে বসে থাকব দুজনেতে পাশাপাশি
থাকার ব্যবস্থা ঠিকঠাক হলে
তোমার পেন্সনের টাকায় পোষালে
তোমায় আবার একা পেলে
আর কি ফিরে আসি?


1 টি মন্তব্য: