সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৫

তিনটি চতুর্দশপদী

(1)
আজকে সকালে বিজলীওয়ালী বাই
এসে বললেন মুখটা করে গোমরা
রোববার তো সব্বার ছুটি চাই
বাকী কেন থাকি আমরা।

কি বিপদ যদি নেয় ছুটী
কত কাজ রয় যে থাকে পড়ে
করবে কি আজ রবিবারী আড্ডাটা মাটী
নেটের তো নাগালই নাই ঘরে।

এদিকে নোটিশ দিয়ে বাই পগার পার
ছন্দ মিল করছে মাথায় ভন ভন
লিখে পোষ্টালে লাইক পাব এন্তার
ভেবে না পাই হবে কি উপায় এখন।

মনে হচ্ছে হল দয়া তেনার

এসেছেন ঘরে সেবা দিতে আবার।।

(2)

আজ কেন মনে হচ্ছে আমার লিখতেই হবে সনেট
হয়নি লেখা কিছুই গত বেশ কিছুদিন ধরে
এবার না লিখলে ফেবুর বাজারে আমার কমে যাবে যে রেট
আদা জল খেয়ে লেগেছি লিখতে মনেতে জোর করে।

লিখেছিলাম দু একটা লিমেরিক আর অ্যাক্রস্টিক
কাল ঘাম ছুটে গেছিল সেটুকু লিখতে
তবুও শুনলাম সেগুলো হয়নিকো ঠিক
ঘুঁটের মেডেলও কেউ দেবে নাকো তাতে।

ছড়া লেখা কিন্তু খুব সোজা, অন্তমিলের বাড়াবাড়ি
রামের সাথে বাম, যদুর সাথে দুধু
তাই ছড়ারই দেখবে বাজারে ছড়াছড়ি
অন্য কিছুর নামে ঢুঢু।।

এবার আমি যখন লিখছি চতুর্দশী কাব্যি
প্লীজ গোল কোরোনা, দিচ্ছি মাথার দিব্যি।।

(3)
দেখতে দেখতে কেটে গেল আশিটা বছর
পিছু ফিরে  দেখি আর মনে লাগে ভয়
পেরিয়ে এলাম কি এতটা লম্বা সফর
যদিও সাথে তাঁর চলে গেল অমূল্য সময়।

বন্ধুদের সাথে যৌবনের পিচ্ছিল পথে
কিভাবে যে কেটেছিল দিনগুলি
প্রেম ভালবাসা, অনুরাগ অভিমান সাথে
না চেয়েও পেয়েছিনু ভরিয়া অঞ্জলি
লেখাপড়া খেলাধুলা হাসিখুসী সেই সব দিন
কিছু তাঁর আবছা স্মৃতির পটে হয়ে গেছে ম্লান
কিছু কিছু মনে হয় এইতো সেদিন
নতুন জামাজুতোর পাই যে আঘ্রাণ

কিন্তু সময় এসেছে কাছে, এবার নিতে হবে বিদায়
বন্ধু আমার হাঁসো প্রাণ ভরে, কোরো নাকো হায় হায়।। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন