লেখাপড়া করে যে গাড়ী ঘোড়া চড়ে সে – এই বিখ্যাত বাক্যটাকে আমরা ছোটবেলায় বানিয়ে ছিলাম - লেখা পড়া করে যে গাড়ী চাপা পড়ে সে। আমাদের এই বাক্যটাকে বদলানোর সপক্ষে যুক্তিও আমরা রেখেছিলাম। লেখাপড়া করতে গেলে রাত জেগে পড়তে হবে। অতএব দৃষ্টি শক্তি কম হয়ে যাবে এবং দূরের গাড়ী না দেখতে পেয়ে চাপা পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশী থাকবে। কিন্তু সত্যিই কি লেখাপড়া করলেই গাড়ী ঘোড়া চড়তে পারা যাবে? আমার তো মনে হয় এটা ঠিক নয়। প্রথমত বিল গেটস এর মতন লোকের বেশীদূর পড়া হয়নি কিন্তু তার তো গাড়ীর সংখ্যা কম নয়। আর সব সময় গাড়ী চড়বার মতন লোক হচ্ছে গাড়ীর ড্রাইভার। যতদূর জানি তাদের কাজের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা খুব একটা বেশী নয়। আর যে যেহেতু তারা রাত জেগে পড়েন নি তাই তাদের চোখের জ্যোতি বা দৃষ্টিশক্তি খারাপ হয়নি।
এবার দেখি ঘোড়া চড়ার সম্ভাবনা। ছোটবেলায় গড়ের মাঠে ফুটবল খেলা দেখতে গিয়ে ঘোড়ার উপর বসা পুলিশের তাড়া খাওয়ার সময় ঘোড়া চড়বার যোগ্যতা হিসাবে পুলিশে ভর্তি হবার কথা মনে হয়েছে। তখনকার দিনে সে জন্য কলেজে গিয়ে ডিগ্রী নেবার দরকার পরত না। এছাড়া রেসের মাঠের জকিদের জন্য যতদূর জানি কোন নূন্যতম শিক্ষন যোগ্যতার কথা ছিলনা। আর রাজা মহারাজাদের কথা আলাদা। আমার মত ছাপোষা মানুষের কাছে ঘোড়া পুষবার মত রেস্ত কোথায়। কাজেই দেখতে পাচ্ছি যে কথাটার কোন বিশেষ তাতপর্য নেই।
তাই সবাই মিলে আওয়াজ তুলুন পাঠ্যপুস্তক থেকে এই ধরনের বাক্যকে বাদ দিতে হবে। আমি অবশ্যি আপনাদের সবার পেছনে থাকব কেননা পালানর দরকার পরলে যঃ পলায়তি সঃ জিবতি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন