বুধবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১২

২০১২ সালের পুজার আরও কিছু ছবি

এর আগের দুটো পোস্টে  সপ্তমীর রাতের অনুষ্ঠানের কিছু ছবি দিয়েছিলাম। অষ্টমীর দিন আমার শরীর সাথ না দেওয়াতে আর পূজা দেখতে যাওয়া হয়ে অঠে নি।
নবমীর দিনের কিছু ছবি এখানে দিলাম
নবমীর দিনের বেলায় পূজা
                                        নবমী পুজার আরতি
                                              নবমীর বলি
                                                কুমারী পূজা
                                 শ্রীমতী বর্নালী রায় শিকদারের ধুনুচী নাচ
                               শ্রীমতী তুলিকা দেবনাথের ধুনুচী নাচ
পুজা শেষ। মা চলে গেলেন তার মার ঘর থেকে। আসছে বছর আবার আসবেন। যদি সুস্থে থাকি তবে আবার আসছে বছরের কথা লিখতে পারব।
তবে নিশ্চয় জানি আসছে বছর আবার হবে।

শনিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১২

২০১২ সালের পূজা

                     আমার আগের পুজার পোষ্টের পরের পোস্ট। কিছু ভিডিও দিলাম

                                        সপ্তমী পুজার আরতির ভিডিও
                          সপ্তমীর দিনে ছেলেদের শাখ বাজানোর প্রতিযোগীতার অংশ
                                    সপ্তমীর রাতের অনুষ্ঠানের অংশ

বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১২

২০১২ সালের পূজা

মুম্বাইর নেভীনগরের পূজা

এবার পুজাতে আমি মুম্বাইতে নেভীনগরে আমার মেয়ের বাড়ীতে কাটালাম। ঘরোয়া পূজার মজাই আলাদা। কথাতে কিছু না লিখে চেষ্টা করছি কিছু ছবি তুলে দিতে। অনভাস্ত হাতের ছবি, কাজেই খারাপ হলেও হতে পারে।
(১) ষষ্ঠী পুজার দিনে --২০-১০-১২ তারিখে
ম সপরিবারে


মা
সপ্তমীর দিন (২১-১০-১২) রাতে এক বর্ণময় সঙ্গীত এবং নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। মহিষাসুরমর্দিনী নৃত্য পরিচালনা করলেন কুমারী অঙ্কিতা ভৌমিক।তার কিছু অংশ এখানে দেবার চেষ্টা করলাম

মহিষাসুরের সাথে যুদ্ধ


মহিষাসুরের সাথে যুদ্ধ
মহিষাসুরের সাথে যুদ্ধ


মহিষাসুর বধ এবং মার জয়

আমার নাতি আবির্ভাব পারিতোষিক নিচ্ছে

ভিডিও আপ লোড করতে অসুভিধা হচ্ছে। পরের পোষ্টে দেবার চেষ্টা করছি।

সোমবার, ২২ অক্টোবর, ২০১২

বউ কেমন চাই

একটা কবিতার ভিডিও করে নীচে দিলাম। ভাল লাগ্লে জানাবেন নিশ্চয়।
contain bangla poem in pdf format with voice over text so as to be useful to peole who does not have banglas fonts in their library or who cannot read bangla.


২০১২ সালের পুজর ছবি

নীচে কয়েকটা ছবি দিলাম আজ অষ্টমী আজকের পরের ছবি গুলো পরে দেব
Down under are some pictures taken on20 and 21-10-12
পুরহিত মশাই ষষ্ঠী পুজতে বসেছেন
priest on puja

ষষ্ঠী পুজর আরতি
arati on 20-10-12

সপ্তমীর রাতে মহিষাসুরমর্দিনী নৃত্যনাট্টের অংশ
part of dancedrama Mahishasur

মহিষাসুরে বোধ ও মা দুর্গার বিজয়
Death of mahishasur and victory of Mother

ক্তথকনৃত্যের অংশ
katthak dance recital

ভারতনাট্যের অংশ
Bharatnatyam dance recital

html tag


<a title="Web Statistics" href="http://getclicky.com/100538981"><img alt="Web Statistics" src="//static.getclicky.com/media/links/badge.gif" border="0" /></a>
<script src="//static.getclicky.com/js" type="text/javascript"></script>
<script type="text/javascript">try{ clicky.init(100538981); }catch(e){}</script>
<noscript><p><img alt="Clicky" width="1" height="1" src="//in.getclicky.com/100538981ns.gif" /></p></noscript>

রবিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১২

বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১২

ভাবনা - পর্ব ৪

                              শীলা ও দিলীপের ভাবনা


দিলীপ আর শীলা বিয়ে করেছে আজ বছর পঞ্চাশের মত আগে। ওদের মনের মিল দেখে লোকে ঠাট্টা করে ওদের নাম দিলীপকুমার-সায়রাবাণু দিয়েছিল। চিরটা কাল দিলীপ বাইরে বাইরে চাকরী করে কাটিয়েছে। না দিলীপের বাড়ির কেউ, না শীলার বাড়ীর কেউ কলকাতার বাইরে গিয়ে থেকেছেন। থাকলেও, সেটা খুব বেশি হলে এক দেড় সপ্তাহের জন্য আর একা একাই। সপরিবার চাটিবাটী নিয়ে কলকাতার বাইরে গিয়ে সংসার পাতা দুজনের কাছেই একটা অ্যাডভেঞ্চার এর মত ছিল। ক্রমে জাগতিক নিয়মে তাদের সংসার বেড়েছে, দায়িত্ব বেড়েছে। তাদের ছেলেমেয়েরা বড় হয়েছে, বিয়ে শাদী করেছে, যে যার নিজের কাজের সুবিধা অনুযায়ী স্ত্রীপুত্রকন্যা নিয়ে অন্য জায়গাতে ডেরা বানিয়ে নিয়েছে। আর দেখতে দেখতে দিলীপ আর শীলা বুঝতেই পারেনি যে পঞ্চাশটা বছর তারা একসাথে কাটিয়ে দিয়েছে।
       আজ থেকে প্রায় বছর পনের আগে শিলা তার জীবনের প্রথম ধাক্কা খেল যখন তার ছেলে তাকে বলে যে সে একজনকে পছন্দ করেছে আর তাকেই বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছে। বিশেষ করে আরও যখন জানতে পারল যে মেয়েটি অবাঙ্গালী এবং নিরামিষাশী। (শীলা মাছ খেতে এবং রান্না করতে খুব ভালবাসে)। সে নিজে এদিকে একটি বাঙ্গালি সুন্দরী মেয়েকে পছন্দ করে তাদের বাবামার সাথে কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছে। যথা নিয়মে বাবা আর মার আপত্তি সত্ত্বেও ছেলে বিয়ে করলো, আর শীলা যা হবার তা হয়ে গেছে ভেবে তাকে মেনে নেবার চেষ্টা করতে লাগলো
       দ্বিতীয় ধাক্কা এল আবার অন্য ছেলের কাছ থেকে। সে কাউকে না জানিয়ে আর এক অবাঙ্গালী বিয়ে করলো যখন। মনে তার ক্ষোভ জমতে শুরু করলো আমার বাঙ্গালি ঘরের পুজো আচ্চা এই সব কি ভাবে হবে। দুই বউএর কেউইতো বানাগালী নয়। বাংলার বাইরে থেকে থেকে তার নিজের ছেলেমেয়েরা বাঙলা বলতে ও পড়তে পারলেও লিখতে অসুবিধায় পড়ে। ইতিমধ্যে সে তার মেয়ের বিয়েও দিয়ে দিয়েছে।  পছন্দ মতন জামাই হয়েছে। কিন্তু শীলার মনে শান্তি নেই। তার মন চায় সবসময় ছেলে আর নাতিদের নিয়ে খেলতে। শরীর সাথ না দিলেও ওদের নামে পূজো তুলে রেখে সময় মতন গিয়ে কালীবাড়ীতে পুজো দিয়ে আসতে।

       ছেলে, ছেলেরবউ আর নাতিদের কাছে না পেয়ে মন যখন প্রায় ভেঙ্গে যেতে শুরু করেছে তখন মেয়ের কাছে গিয়ে একটু আনন্দ করআর জন্য মেয়ে জামাই শীলাকে কাছে ডেকে নিল। ওখানে যাবার পরে ছোট্ট নাতিকে নিয়ে শীলা ঠিকই করে উঠতে পারত না যে কি করবে।

       দিন যায়। শীলার বয়স বাড়ে, শরীর ক্রমশঃ অশক্ত হতে থাকে। সে চায় কেউ যদি তাকে সাহায্য করতে তার কাছে আসত। কিন্তু এটাও জানে যে তাদের পক্ষে শীলার কাছে এসে থাকা অসম্ভব। দিলীপ দেখে আর ভেবে পায়না যে কি করে শীলাকে বোঝায় যে তাকে এইভাবেই থাকতে হবে। দিলীপ তো পারেনি তার বাবা মার কাছে এসে থাকতে।

       শীলার মেয়ে জামাই চায় যে শীলা তাদের কাছে এসে থাকুক। আলাদা সংসার তুলে দিক। শীলা ভাবে জামাইএর সংসারে শ্বাশুড়ি কতদিন থাকবে। মেয়ে ভাবে তার মা তার কাছে থাকলে ছোট খাট কাজে মা হাত লাগাতে পারবে। মা ভাবে তার নিজের তো একটা সংসার আছে তার জন্য আলাদা বাড়ী ভাড়া ইত্যাদি শুধু শুধু গুনব কেন। তার চেয়ে ওখানে থাকি। দিলীপ ভাবে মেয়ের কাছে শিলা থাকবে ভাল শীলা ভাবে ওখানে সে যখন খুসী তার কাজ করতে পারে। জামাই ভাবে শ্বশুর শ্বাশুড়ি যা করবেন তাতে তার কিছু বলার নেই। নাতিরা ভাবে দাদু দিদু যেখানেই থাক তাদের কিছু যায় আসেনা কেননা ইচ্ছে হলেইত তাদের কাছে যাওয়া যায় আর দাদুর কাছে বায়না করা যায়।

এই নানান  ভাবনা একসাথে করে কি দাঁড়াবে তা বুঝতে পারছি না একটা উত্তর বা সল্যুশনে পৌছনো যাবে কি?

       পুনশ্চঃ এই শীলা এবং দিলীপ কাল্পনিক, আসল চরিত্র নয় এই দিলীপ আমার নিজের নাম হলেও আমি নই। চরিত্রের নাম ঠিক করার আগেই কেন জানিনা এই নামগুলোই মনে এল আর তাদের বসিয়ে দিলাম। ঘটনাক্রম ও কাল্পনিক।

রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১২

আমার জিজ্ঞাসা ?

আমার জিজ্ঞাসা?

আমি কোন পথে যে চলি, চারদিকেতেই গলি
কোনটা দিয়ে কোথায় যাব, কিরকমে বলি।
এখন আমি কি যে করি
কোন দিকের রাস্তা ধরি
কাউকেতো দেখছি নাকো, যাকে জিজ্ঞেস করি।
হয়তো আগের মোড়টাতে ভূল ঘুরেছি ওরে
এখন আবার  যেতে হবে আমাকে তো ফিরে
দাড়িয়ে আছে ইস্ত্রী আমার, শ্যামবাজারের মোড়ে
দেরী হলেই দেবে আমার  ধুরধুরিটা নেড়ে
বলনারে ভাই, জানিস যদি , যাবো কেমন করে?

আমি কোন পথেতে চলি গানের সুরে পড়ে দেখবেন।  

শনিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১২

ব্লগের নতুন ঠিকানা

এই ব্লগে আর আলাদা করে আমি লিখছি না। এখন থেকে আমি সমস্ত লেখা স্পাইসিদিলীপের ব্লগ এ লিখবো। সাইট url spicydilip.blogspot.in> আমার লেখা পড়ে কমেন্ট করবেন কিন্তু।

ভাবনা - পর্ব ৩

শিমরণ এবং আবির্ভাবের ভাবনা 


        সিমরণ আর আবির্ভাবের প্রেমের বয়স মনে হয় বছর দেড়েকের হবে। অবশ্যি এর আগে কলেজে পড়ার সময় ওরা নিশ্চয়ই প্রেম করেছে তবে একে অন্যকে নয়। তখনকার প্রেম ছিল চোখের দেখার প্রেম, যেটা কলেজের পড়া শেষ করে নিজের নিজের রাস্তা আলাদা হবার পরে আস্তে আস্তে শুখিয়ে গেছে। দুজনে একই অফিসে চাকরী করে। সারা দিনে একসাথে থেকে কাজ করায় ধীরে ধীরে ওদের মনে আবার প্রেমের কলি বিকশিত হয়ে উঠতে শুরু হয়েছ। এখন ওদের প্রেমের অবস্থাটা কিছুটা জমে উঠেছে, জমে কন্ডেন্সড মিল্ক না হলেও রাবড়ির কন্সিষ্টেন্সিতে পৌঁছে গেছেঅফিসের শেষে সোজা বাড়ির দিকে রওয়ানা না হয়ে, কোনদিন কোলাবা কজওয়েতে উইন্ডো শপিং, বা কোনদিন ফ্যাশন মার্কেটে লাকোস্টে বা প্রভোগের জামাকাপড়ের দরদামকরে কেনা, যদিও ওরা জানে যে এগুলো অরিজিনাল নয়। কোনদিনও ওরা হাটতে হাটতে গিরগাও চৌপাটিতে ঘুরে আসা। আর তার পরে লোকাল ধরে নিজ নিকেতনে। হার্বার লাইনের ট্রেনেও ওরা একসাথেই যায় কেননা আবির্ভাব যায় ভাসী আর সিমরণ নেরুল।

আবির্ভাব এক ডাক্তারের বাড়িতে পিজি অ্যাকমোডেশন নিয়ে আছে, দিনের লাঞ্চটা ওকে অফিসের ক্যান্টীনে খেতে হয়। সকালে ব্রেকফাষ্ট করে লকাল ধরে নটার মধ্যে সিএসটি পৌছতে হবে। রাতে ঐ চক্করটা মেরে বাড়িতে পৌছতে প্রায় সাড়ে নটা বেজে যায়। খাবারটা হটকেসে রাখা থাকে। স্নান করে খেয়ে নিয়ে বিছানাতে উপুড় হয়ে শুয়ে ল্যাপটপে সিনেমা দেখা বা ইন্টারনেট সার্ফিং করা। এতেই ঘুমোতে যাবার সময় হয়ে যায়। সপ্তাহে একদিন রাতে কলকাতায় বাবা আর মার সাথে টেলিফনে কথা হয়। স্কাইপে দুদিকেই লাগান আছে কিন্তু মার দ্বারা ঐটা কানেকশন করে নেওয়া হয় না। বার বার দেখিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও ভূল করে ফেলে। তাই এবার একটা থ্রিজি মোবাইল কিনে দিয়ে আস্তে হবে।
আবির্ভাবরা দুই ভাই। দাদা বিয়ে করেছে। কোলকাতারই মেয়ে, কিন্তু বিয়ের পরে কদিনের মধ্যে অন্য পাড়ায় বাড়ী ভাড়া করে আছে। বৌদি আর মার মধ্যে বনিবনা হয়নি। এখন মা দেখা করতে চাইলে ফোন করে ডেকে নেয়। দাদা একা এসে দেখা করে কথা বার্তা বলে চলে যায়। বৌদি আসে না। চাকরীটা নিয়ে মুম্বাই চলে আসার পড় থেকেই আবির্ভাবের মনে সব সময় মার জন্য চিন্তা। বাবা রিটায়ার করলেও শরীর এখনও বেশ ভালই আছে, কিন্তু মার শরীরটা ভেঙ্গে গেছে। দাদার কাছে না থাকা ঠিক মনে মানিয়ে নিতে পারেনি। এদিকে যে বাবামাকে তুলে মুম্বাইতে নিয়ে আসবে তাও সম্ভব নয়। কিছু না হলেও একটা টু বিএচকে ফ্ল্যাটের ভাড়া কম করে হাজার দশেকের মতন। সেটাও পানভেল বা কালাম্বোলিতে, ষ্টেশনের থেকে কম করে ৪/৫ কিলোমিটার দূরে। একটা নিজের গাড়ী থাকা দরকার। আর তাছাড়া এখানকার লোকগুলো যে যার নিজের জন্যপাশের ফ্ল্যাটে লোকে বাঁচল কি অসুখ হয়ে বিছানায় পড়ে রইল তাতে কারুর কিছু যায় আসে না।বাবাও বলে এই কলকাতায় বেশ ভাল আছি। সারা ভারতে এর মত সস্তা আর ভাল জায়গা কথ পাবিনা। আগের চেয়ে এখন এখানে গুন্ডামী হচ্ছে তবুও অন্যান্য জায়গার থেকে কলকাতা অনেক সেফ। বরং তুই এদিকে একটা ভাল চাকরী পেলে চলে আস্তে পারিস।

মাঝে মাঝে ভাবে ট্রান্সফারের জন্য চেষ্টা করবে। ওঁর অফিসের একটা ব্রাঞ্চ রাজারহাটে আছে। তবে যতদূর জানে ওখানে কোন ভেকান্সি নেই। ওয়েষ্ট বেঙ্গলে চাকরীর বাজারটা খুবই খারাপ। হয়ত দূর্গাপুর বা হলদিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল এষ্টেটে কিছু পাওয়া যাবে, কিন্তু তাতেও তো বাবামাকে কলকাতা থেকে তুলে নিয়ে যেতে হবে। ের উপরে আছে সিমরণ। বুঝতে পারি যে ও আমাকে চায় আর সেই জন্য আস্তে আস্তে বাঙলা শিখতে শুরু করেছে। কিন্তু ও কি পারবে বাবামাকে ছেড়ে আমার সাতেহ চলে যেতে? আমি যেমন সব সময়ই বাবামার কথা ভাবি ও কি করবে? ওঁর তো ভাইও নেই। একমাত্র মেয়ে। ভাবি খালি ভাবি কি ভাবে কি হবে?

শিমরণ মঙ্গেশকার। বয়স বাইশ থেকে পচিশের মধ্যে। মেয়েদের ঠিক বয়স বলতে নেই, একটা রেঞ্জের মধ্যে রাখতে হয়। বাবা রিটায়ার করেছেন। রোজ সকালে প্রায় তিন কিলোমিটার মর্নিং ওয়াক করে আসেন। ঠিক কটার সময় বাড়ী ফিরে আসেন সেটা সিমরণ বলতে পারে না, কেননা ও বাবার ফেরার আগেই অফিসের জন্য হাঁটা শুরু করে। বাড়ী থেকে ষ্টেশন প্রায় দেড় কিলোমিটার। একটু সময় হাতে নিয়েই বেরোয়। এর আগে ঘুম থেকে উঠে চা খেয়ে সকালের লাঞ্চের জন্য তরকারী বানিয়ে রাখে যার থেকেই নিজের জন্য কিছুটা নিয়ে নেয়। কোনদিন চারটে রুটি, কোনদিন বা পোহা নিয়ে যায়। মাঝে মধ্যে যে দিন দেরী হয়ে যায়, সে দিন লাঞ্চটা ও আবির্ভাবের সাথে ক্যান্টিনেই করে নেয়। দুপুরে ভাত মা বানিয়ে নেবে। রাতে ফিরে এসে মাইক্রোতে চটপট ফ্রিজের থেকে সকালের তরকারীটা বার করে গরম করে নেওয়া আর ভাত বানিয়ে নিতে খুব বেশি হলে আধ ঘন্টা লাগে, কাজেই রাত দশটার মধ্যে ডিনার কমপ্লিট। রাতে শুয়ে খালি আবির্ভাবের কথা চিন্তা করে। আবির্ভাব যে ওকে চায় সেটা বুঝতে পেরে ও দোটানাতে পড়ে আছে। একদিকে বাবা আর মা। আমি বিয়ে করে চলে গেলে এই বুড়োবূড়িদের কে দেখবে? বাবা কোনদিনই সংসারের কাজের দিকে নজর দেন নি। ছোটবেলায় দেখেছে মা দৌড়ে দৌড়ে সব কাজের দিকে নজর দিচ্ছে। বড় হবার পরে আস্তে আস্তে এই দায়িত্বটা সিমরণ নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। বাবার নিজের ওয়ান বিএচকে ফ্ল্যাট। বাড়ী ভাড়ার খরচ নেই। পেন্সনের টাকায় দিব্যি চলে যাবে। কিন্তু অসুখ বিসুখ হলে পরে কে দেখবে? সিমরণ তো থাকবে আবির্ভাবের বাড়ীতে। তা ছাড়া আবির্ভাবের বাবা মারও তো বয়স হয়েছে, এই বয়সে ওঁরা আর কতদিন একা থাকতে পারবেন তা কেউ বলতে পারেনা। হয় আবির্ভাব ওদের কাছে নিয়ে আসবে নয়ত ট্রান্সফার নিয়ে কলকাতায় চলে যাবে। কাছে নিয়ে এলে নতুন বাঙ্গালি পরিবেশে ওকে থাকতে হবে, নতুন লোকের দায়িত্ব নিতে হবে, কিন্ত নিজের বাবামাকে কাছেই দেখতে পাবে। আর কলকাতায় ট্রান্সফার নিয়ে গেলে বাবামাকে হয়ত দু তিন বছর বাদে বাদে দেখা করতে আসতে পারবে। চিন্তা করে কোন রাস্তাই পায় না। মাঝ থেকে ঘুমটা দেরী করে আসে

এদের চিন্তার কি কোন সল্যুশন আছে? আমি তো জানি না। আপনাদের জানা থাকলে ওদের উপদেশ দিন না।
       

বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১২

২০১১ সনের টালীগঞ্জের সিনেমার জনপ্রিয় গান


২০১১ সালে টলিগঞ্জের বাঙলা সিনেমার গান

২০১১ সালে কলকাতা থেকে যে সমস্ত বাঙলা সিনেমা তৈরী হয়েছিল তার মধ্যে অনেক 

জনপ্রিয় গান ছিল।  দর্শকদের এবং শ্রোতাদের বিচারে আমার মনে হয় তিনটি সিনেমার 

গান জনপ্রিয়তার শিখর ছুয়েছিল।  সিনেমা তিনটি হল (১) চ্যাপলিন (২) বাইশে শ্রাবণ 

এবং (৩) গোঁসাই বাগানের ভূত।   ইউ টিউব থেকে গান গুলির লিংক নীচে দিলাম।  

আপনাদের পছন্দ মত শুনে নেবেন।  গানগুলি আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে। 


চ্যাপলিন সিনেমা থেকে      শ্রীজাতের সুর দেওয়া


শান এবং কৌষিকী দেশীকানের গাওয়া    পাতা ঝরা বৃষ্টি 



বাইশে শ্রাবণ সিনেমা থেকে   অনুপম রায়ের সুর দেওয়া


অনুপম রায়ের গাওয়া                      একবার বল তোর


রূপম ইসলামের গাওয়া                     এই শ্রাবণ


রূপঙ্রকরের গাওয়া                           গভীরে যাও 



গোঁসাই বাগানের ভূত সিনেমা থেকে     চন্দ্রবিন্দুর সুর দেওয়া


চন্দ্রবিন্দুর গাওয়া                           বুরুন তুমি অঙ্কে তের


শিলাজিতের গাওয়া                        হাবু হালুম


প্রতুল মুখার্জীর গাওয়া                     শেওড়া গাছে ভূত

আশা করবো আপনাদের গাম গুলি ভাল লাগবে।

বুধবার, ১০ অক্টোবর, ২০১২

ভাবনা পর্ব ২ ( বিমল আর অশোক)



ভাবনা পর্ব – ২

       সকাল বেলায় অফিস যাবার মুখে সন্টু প্রায় নাচতে নাচতে এসে বলল “ জান মা, বাবা লাইনে যাবার আগে আমাকে বলছিল, এই শুক্কুরবার ঠাম্মার কাছে আমরা যাব। জান বাবা বলছিল, ঠাম্মা আমাদের অনেক করে দেখতে চেয়েছে। কি মজা। ঠাম্মার ওখানে তালশাঁস ভাল পাওয়া যায়। কি মিষ্টি খেতে।“

       খবরটা শুনে মেজাজটা অনেক কষ্টে ঠিক করা গেল। শ্বাশুড়ীমা এমনিতে ভাল, কিন্তু ওঁর ঐ ছোঁয়াচ মানামানীর জন্য ভীষন অসুবিধা হয়। সকাল বেলা উঠে বাসী কাপড় না ছেড়ে রান্না ঘরে যাওয়া যাবে না। এই সব। তাছাড়া  ঐ সময় কদিনতো উনি আমার ছোঁয়াও খাবেন না। রাতে বিমল ফিরলে কথা বলতে হবে।

       বিমলের স্ত্রী শোভা। দুই ছেলেতাদের বয়স সাড়ে সাত আর ছয়। এর পরেই শোভা অপারেশন করিয়ে নিয়েছে। ঐ পিল খেলে শুনেছে ও মোটা হয়ে যাবে। বডি ফিট রাখতে জিমে রোজ যেতে হয়। মাস গেলে তিন হাজার টাকা চাঁদা। টাকাটা গায়ে লাগলেও, যখন বিমলের বন্ধুরা তাকে দেখে এঞ্চান্টেড হয়েছে বোঝাতে চায়, তখন তার খুবই ভাল লাগে। দুজনের মাসে রোজগার কিছু না হলেও হাজার পঞ্চাশের মতন। বাড়ী ভাড়া দিতে হয় না। বিমলের কোম্পানির কোয়ার্টার, কিন্তু ছেলেদের স্কুলের মাইনে, টিউশন, নিজের আর বিমলের গাড়ীর তেলের খরচ এই সব দেওয়ার পরে খুব অল্পই বেঁচে থাকে। এর উপরে রিটায়ারমেন্টের আগে একটা মাথা গোঁজার জায়গা তো কেনার ব্যবস্থাও করতে হবে। তাছাড়া ওখানে যাওয়া মানেই নগদ কিছু খরচ। শ্বশুর মশাই রিটায়ার করার পরে হাতে প্রভিডেন্ট ফান্ডের যা টাকা পেয়েছিলেন, তার প্রায় সমস্তটাই শ্বাশুড়ীমার চিকিৎসাতেই শেষ হয়েছে। বিমলকে মাঝে মাঝেই কিছু টাকা পাঠাতে হয়। এটা নিয়ে শোভার মনে একটা ক্ষোভ রয়ে গেছে।

       সারা দিনটা টেনশনের মধ্যে কাটল। অফিসের কাজে মন লাগানোর মতন মনের অবস্থা হল না। দুবার বেশী করে চিনি দিয়ে ব্ল্যাক কফি খেয়েও সে একই অবস্থা। সন্ধে বেলা বাড়ী ফিরে মাইক্রোতে ভাতটা বসিয়ে দেবার আগে আরও এক কাপ কফি খেয়ে নিল। মাথাটা বেশ ভাল করেই ধরে আছে। বিমলকে বললেই তার প্রেসক্রিপশন হবে একটা ছোট করে লাইমের সাথে জিন টনিক নেবার। সব সময় শোভার ওগুলো পছন্দ নয়। গন্ধ লাগা বা নেশা হবার জন্য নয়। ওগুলো খেলেই তো চর্বি জমে যেতে শুরু হবে। পার্টীতে গেলে পরে হাতে নিতেই হয়, আর তার পর সিপ করলে যে খারাপ লাগে তা তো নয়। সকালে চিকেন বানিয়েছিল তার একটা পোর্শন আলাদা করে ফ্রিজে রাখা ছিলসেটাকে গরম করে নিলেই হয়ে যাবে। খাবার সময় বিশেষ কোন কথা হল না। শোভার কম খাওয়া দেখে বিমলের জিজ্ঞেস করলে শোভা মাথা ধরেছে বলে দিল।

ছেলেরা শুয়ে পড়লে শোভা ওদের ঘরের আলো নিভিয়ে গুডনাইট বলে নিজের শোবার ঘরে চলে গেল। বিমলের পাশে শুয়ে পড়ে গায়ের চাদরটা টেনে নিয়ে জিজ্ঞেস করল, " তুমি কি মার কাছে যাবার প্ল্যান করছ নাকি।" "হু।  মানে আসছে সপ্তাহের শুক্কুরবার ছুটি আছে। তার সাথে শনি রবি মিলিয়ে তিন দিন হয়ে যাবে। তাইই। তুমি কি করে জানলে? আমি তোমাকে একটা সারপ্রাইজ দেব ভাবছিলাম।"

"সারপ্রাইজ। আর সারপ্রাইজ দেবার দরকার নেই। এদিকে আমাকে সারপ্রাইজ দেবে আর ওদিকে সন্টুকে তো বলেছ। তার মানে আমাকে বলার দরকার মনে করনি"একটু থামার পরে আবার, " তাছাড়া, ওখানে যাওয়া মানে কত এক্সট্রা খরচ তা শর্মা হিসেব করেছেন কি? যাতায়াতের খরচ বাদ দিয়ে ওখানে গেলেই তো মাকে কিছু দিতে হবে। বাবাকে অনেক দিন তুমি টাকা পাঠাচ্ছো না। অবশ্যি আমার ডিমান্ডগুলো মেটানোর পরে তোমার কাছে আর কিছু বাঁচছেও না। মানে প্রায় হাজার দশেকের মতন খরচ হবে । কোত্থেকে আসবে শুনি? আমার কাছে হাত পাতলেও কিছু এবার পাচ্ছনা। এবার আমাদের কিটি পার্টীতে অনেক খরচ।"

"ওসব চিন্তাতো তোমার নয়। এবার আর তোমার কাছে হাত পাতবোনা। তখন গাড়ির  ডাউন পেমেন্টের জন্য দরকার পড়েছিল। আর তাছাড়া তো এখনও ফাইনাল কিছু করিনি। ছুটি আছে তাই। ছেলে দুটো তাদের ঠাম্মার কাছে যাবে বলে প্রত্যেক ছুটির সময়ই বায়না ধরে।" হু, বলে শোভা পাশ ফিরে শুল। বোঝা গেল এতে তার সম্মতি নেই। এমনিতে শ্বাশুড়ী এলে তাকে যত্ন আত্তি করতে শোভার কোন কষ্ট নেই। সেটা গায়ের শক্তির ব্যপার আর এখন এটা নগদ টাকার কথা। বিমল ভাবতে শুরু করলো কি ভাবে ম্যানেজ হবে। মাও বেশ কিছু দিন থেকেই ফোনে বলেন 'বাবার শরীরটা আর ভাল যাচ্ছে না, আমিও আর পেরে উঠছি না'। কিন্তু যদি বলি আমার এখানে চলে এসনা, তখনি নানান অজুহাত দেখান শুরু করেন। রাতে দুজনেরই ভাল করে ঘুম হল না।

পরের দিন দুজনেই তাদের নিজের ইচ্ছে থেকে নড়বার কোন চেষ্টা দেখাল না। কিন্তু এই নিয়ে কোন ঝগড়া বা কথা কাটাকাটী হলনা। একেবার কোল্ড ওয়ার।  সন্ধে বেলায় বিমল ফিরে দেখে শোভা আগেই এসে গেছে আর বেশ খুসী খুসী ভাব দেখাচ্ছে। "কি ব্যপার ডার্লিং? আজ কি কোন সুখবর শোনাবে। অবশ্যি সে তো বছর ছয়েক আগেই শোনানর রাস্তা বন্ধ কর দিয়েছ।" বিমলের মনের গোপনে তার মেয়ে পাওয়ার ইচ্ছেটা প্রকাশ পেয়ে গেল। "না সুখবর নয়। র‍্যাদার তোমার কাছে খারাপ খবর। আমার এই শুক্কুরবার থেকে মানেজমেন্ট ট্রেইনিং নিতে দিল্লী যেতে হবে। সো, দা প্রোগ্রাম অফ গোইং টু মাম্মী হ্যাস টু বি ক্যানসেল্ড। আই অ্যাম সো সরি ডার্লিং। তোমায় ক'দিন একা থাকতে হবে"।  "নাথিং টু বদার। ইন ফ্যাক্ট আমিও ভাবছিলাম তোমার ওখানে কাজ করতে অনেক অসুবিধা হয়। ফ্রিজ, মাইক্রো নেই, সেই গ্যাসের চুলা। তাই আমিও প্রোগ্রামটা ক্যানসেল করেছি। সন্টুদের বুঝিয়ে বোললেই হবে"। দুজনের এমন ভাব দেখাল যেন তারা অন্যের প্রতি কত চিন্তাশীল।

সন্টুদের তাদের ঠাম্মার কাছে যাওয়া হল না। ঠাম্মার তার নাতিদের আদর করা হল না। দুই প্রাপ্তবয়স্ক এমন ভাব দেখাল তারা কত বিবেচক। সত্যি কি তাই। আপনারা কি বলেন?  


আসুন অঙ্ক শিখি - পর্ব ৭

গুনন প্রক্রিয়া

উর্দ্ধতির্যকভ্যাম সূত্র

এর আগে আমি গুন করার জন্য যে সুত্রগুলি দিয়েছিলাম তাদের প্রত্যেকের জন্য কিছু না কিছু বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু এই সুত্রের সাহায্য নিয়ে আমরা যে কোন সংখ্যাকে অন্য যে কোন সংখ্যা দিয়ে গুন করতে পারব।
আমরা দুচারটি উদাহরণ নিচ্ছি--


১) ৭৫ X ৬৪
আমরা দেখতে পাচ্ছি সংখ্যা দুটিতেই  দুটি করে অঙ্ক আছে। অতএব আমাদের গুনফলে (২+২=৪-১=৩) সংখ্যা থাকবে।
প্রথম ধাপ-- সংখ্যা দুটিকে আমরা উপরে নীচে করে লিখলাম। যেমন
        
      
-------------
এবার গুন শুরু করা যাক
দ্বিতীয় ধাপ -- এককের সংখ্যা দুটিকে গুন করা হল। ৫ X ৪ = ২০
তৃতীয় ধাপ -- দুটি সংখ্যার একের এককের সাথে অন্যর দশকের গুন করে তাদের যোগ করলাম। মানে (৪ X ৭ =২৮ এবং ৬ X ৫ =৩০) যোগ করে আমরা পেলাম ৫৮।
চতুর্থ ধাপ -- সংখ্যা দুটির দশকের অঙ্ক দুটিকে গুন করলাম। ৭ X ৬ = ৪২
এবার আমরা একটু মানসাঙ্কের সাহায্য নিচ্ছি।
এককের গুন করে আমরা পেয়েছি ২০। তার শূণ্য (০) এককের ঘরে বসালাম।
তৃতীয় ধাপে আমরা পেয়েছি ৫৮। এর সাথে ২০ র দুই (২) যোগ করে পেলাম ৬০।
এই ষাটের শূণ্যকে (০)  আমরা বসালাম গুনফলের দশকের ঘরে।
চতুর্থ ধাপে আমরা পেয়েছি ৪২ এর সাথে আগে পাওয়া ষাটের ছয় (৬) যোগ করে পেলাম ৪৮
কাজেই আমাদের গুনফল হল ৪৮  ০  ০ বা ৪৮০০।এটাকে আমরা এখন যেভাবে করব সেটা দেখাচ্ছি
      ৭  ।  ৫
      ৬  ।  ৪
--------।---------
       ২ ।  ০
    ৫।৮ ।
  ৪২।
---------------
  ৪৮।০।০      বা ৪৮০০

আরও একটা উদাহরণ নেওয়া যাক। ৩৪৫ X  ৬৭৮
আমরা লিখলাম     ৩    ৪    ৫
__________________৬___ ৭___ ৮
                           ৪   ০   (আমরা এককের ৫ X ৮ করে ৪০ পেলাম)
                    ৬     ৭        ( আমরা ৮ X ৪ এর সাথে ৭ X ৫ করলাম বা      ৩২+৩৫=৬৭)
              ৮    ২               (আমরা ৮X৩ + ৬X৫ + ৪X৭ বা ২৪+৩০+২৮ = ৮২)
         ৪   ৫                     (আমরা ৭X৩ + ৬X৪ বা ২১ + ২৪ = ৪৫ পেলাম)
     ১   ৮                          (আমরা ৬ X ৩ বা ১৮ পেলাম)
====================
     ২  ৩   ৩     ৯   ১   ০    (যোগ করে পাই) বা আমাদের গুনফল হল ২৩৩৯১০)
এবার ৪ সংখ্যার গুন করা হবে।   ২৩৪৬  X ৫৭৮৯
আমরা লিখলাম         ২৩৪৬
                           ৫৭৮৯
            =-=-=-=-=-=-=-=
                               ৫৪ ( ৬ X ৯ = ৫৪)
                             ৮৪*  (৯X৪ + ৮X৬ বা ৩৬+৪৮ = ৮৪)
                          ১০১**  (৯X৩ + ৭X৬ + ৮X৪ বা ২৭ + ৪২ + ৩২ = ১০১)
                          ৫৪*** (৮X২ + ৫X৪ + ৭X৩ বা ১৬ + ২০ + ২১ = ৫৪)
                        ২৯**** ( ৭X২ + ৫X৩ বা ১৪ + ১৫ = ২৯)
                       ১০***** (৫X২ = ১০)
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-
                       ১৩৫৪৯৯৪
(এককে ৪, দশকে ৫+৪=৯, শতকে ৮+১=৯, হাজারে ০+৪=৪,   দশহাজারে ১+৫+৯=১৫ এর ৫ আর লাখে ২+০+১=৩, দশ লাখে ১) ।
এভাবে আমরা যত খুসী সংখ্যার গুন করে যেতে পারি। খালি এ কথা মনে রাখতে হবে যে সংখ্যা দুটি যদি সমান না হয় তবে ছোট সংখ্যাটির আগে শূণ্য (০) বসিয়ে সমান করে নিতে হবে। যেমন ২৩৬৭৮ কে ৩২৬ দিয়ে গুন করার সমসয় ৩২৬ কে আমরা ধরব ০০৩২৬ যাতে দুটি সংখ্যাই সমান অঙ্ক বিশিষ্ট হয়।
আশা করবো যে হয়ত প্রথম মনে হবে কি বিপদের ব্যপার, কিন্তু একটু প্র্যাকটিস করে নিলে পরে এটা অনেক তাড়াতাড়ি করতে পারা যাবে। হ্যাঁ, তবে নামতা আর মানসাঙ্কের সাহায্য নিলে আরও অনেক তাড়াতাড়ি করে নিতে পারা যাবে।




মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর, ২০১২

একটি ভূতের গল্প

ভাগ্নী আমার বায়না ধরেছে , ভূত মামু আমাকে একটা ভূতের গল্প শোনাও। এখানে একটা কথা বলে রাখি, আমার কানে লম্বা লম্বা চুল আছে। কেটে দিলে ওগুলো তাড়াতাড়ি বাড়ে বলে আমি আর ওগুলোকে কাটিনা। আর তাই জন্য খুব ছোটবেলায় ও আমার একটা ছবি একেছিল যার কান থেকে লম্বা লম্বা চুল বেড়িয়ে ছিল।  আমাকে দেখিয়ে বলেছিল এটা তোমার ছবি এঁকেছি। আমি বলেছিলাম এটা তো ভূতের ছবি হয়েছে। সেই থেকে আমাকে ও ভূত মামু বলে ডাকে। আমি যখন বললাম যে "ভূত কি আমি দেখেছি যে তার গল্প শোনাব"। ও বলে - "তোমার বন্ধুবান্ধব্রা তো সবাই প্রায় ভূত, বিশেষ করে মেয়েগুলো তো পেত্নী। একেবার পেত্নীর মতন সেজে থাকে"। আমি ভাবি - "সত্যি কথাই বলেছিস রে", সাবান,বুরুশ না লাগালে আসল রঙ বোঝা যাবে না। আসলে যদি আসল রঙ বা চেহারাটা দেখে ভয় পেয়ে যাই তাই বুরুশ দিয়ে ঘরের রঙ লাগানোর মত পুরু করে পেইন্টিং করে নেয়। কিন্তু তারা কি আসলে ভূত?

শুদ্ধ বাঙলা ভাষাতে ভূত মানে গত, বা যা অতীত হয়েছে যেমন গতকাল। বোধহয় সেইজন্যই কেউ মারা গেলে আমরা বলি গত হয়েছেন। তার মানে যা দেখা যাচ্ছে না, অদৃশ্য, তা গত। মানে ভূত। আমি যেমন আমার মাথায় বুদ্ধি আছে কিনা দেখতে পাই না, সেটা অদৃশ্য আছে। অতএব আমি যদি বলি আমার মাথায় বুদ্ধি নেই, কেননা আমি সেটা দেখতে পাচ্ছি না, সেটা ঠিক হবে না। প্রমাণিত হল ভূত আছে। থাকবেই কারণ সব জিনিষ মরবে এবং ভূত হবে। এটা আদি অকৃত্রিম সত্য।

এবার আসা যাক ভূতের ক্লাশিফিকেশনে। ভূত কয় প্রকার? আসলে যে সমস্ত জিনিষ, (বস্তু, প্রাণী) জ্যান্ত আছে আর মরবে তত রকমের ভূত পাওয়া যাবে। মানে আমরা মানূষ মরে মানুষ ভূত, গরু মরে গোভূত, শকুন মরে শকুনভূত হব এবং হয়েছে। মেয়েরা মরে পেত্নী হবে। তার প্র্যাকটিস করতে তারা জ্যান্ত থাকতেই পেত্নী সাজা শুরু করে। ইনফ্যাক্ট তাদের রঙ ঢং পেত্নী হয়ে কোন ভূতের মনে রঙ ধরাবে তারই বাছাই পর্ব। কে কার সাথে লিঙ্কড আপ হবে সেটা ঠিক করে নেওয়া। পরে তাদের ছানাপোনাদের মানুষ, থুড়ি ভূতপেত্নী তৈরী করতে হবে যে।

এবার দেখা যাক ভূতেরা কি করে? কি খায়? যেহেতু মানুষ মানুষের মাংস খায় না তাই ভূতও ভূতের মাংস খায়না। আর মানুষের মাংস? আজকাল ভেজাল খেয়ে খেয়ে আমাদের শরীরে এত বেশী ভেজাল জমে গেছে, আমরা টক্সিক (মানে ওদের কাছে বিষাক্ত) হয়ে গেছি। খেলেই বদহজম, অম্বল, ডায়রিয়া হবার সম্ভাবনা। তাই ওরা আমাদের খায় না।ভুতে ধরে ধরে হাতপা ছিঁড়ে খাচ্ছে, এটা আর সম্ভব নয়।মাংষাশী ভূত হলে গোভূত, ছাগল ভূত ধরে খাবে। ভেজিটারিয়ান ভূতেরা নিশ্চয়ই মরে যাওয়া গাছপালা (ভূত হয়ে যাওয়া) খায়। ে এই সম্বন্ধে এখনো পর্যন্ত কোন সাক্ষ্য প্রমান আমি পাইনি। কেউ পেলে জানাবেন নিশ্চয়।তার মানে আমরা পাচ্ছি যে ভূতের চেহারা আমাদের মতনই। তালগাছের মত লম্বা ঠ্যাং নিয়ে চলা বা আগুনে গোলার মতন চোখে দেখা এসব কল্পনা। কেননা মরে যাবার পরেই কারুর এই রকম আচমকা বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব নয়।

আইনস্টাইনের মতে কোন বস্তুর গতি আলোর গতির চেয়ে বেশি হতে পারেনা। যদি হয় তবে সেটা সময়ের বিপরীতে যাবে। মানে আমরা টাইম মেশিনের সাহায্য নিয়ে আজকে ২০১১সালে চলে যেতে পারব, কিম্বা তার চেয়েও পেছনে। এখন ২০১২ সালের পয়লা জানুয়ারীতে যে মারা গিয়েছে সে  ২০১১ সালের পয়লা ডিসেম্বর জ্যান্ত ছিল। আর সে সময় আমরা তাদের দেখতে পেতাম। এই অবস্থাতে দেখছি ভূতেদের কাছে যদি টাইম মেশিন থাকে তবে তাদের চেনা সম্ভব নয়। এই সব ভূতেদের সম্বন্ধে সাবধান থাকা দরকার।

এতদূর শোনানর পরে ভাগ্নী আমার বাধা দিয়ে বলল," তুমি যা কিছু বললে সেটা আমার মাথার থেকে কম করে এক ফুট উপর দিয়ে উড়ে গেল। কিছু বোধগম্য হল না। এর চেয়ে আমার ঠাকুরমার ঝুলির দৈত্য দানবদের সহজেই বোঝা যায়। তুমি তোমার এই সব ভুতেদের নিয়ে থাক। তবে তোমার বান্ধবীরা প্রায় সবাইই পেত্নী নিদেন পক্ষে শাকচুন্নী, এটা অকৃত্রিম সত্যি কথা"।