শুক্রবার, ২৪ মে, ২০১৩

মডার্ণ ভরত মিলাপ

 
মুশাভাই আগের স্ক্রিপ্টটা তৈরী করার পরে কেমন জানি ম্যাদামরা হয়ে গেছিলেন। কিছুদিন আই পি এল এ কেচ্ছা পড়ার পরে আবার মাথায় প্লটের কথা গজাতে শুরু করল। এবার বনবাসের যাত্রার পরের অংশে এসে গেলেন।
গাড়ী বেশ কিছু দূর আসার পরে , যখন রাত বেশ গভীর হয়েছে হঠাত গাড়ী হেচকী মেরে থেমে গেল। ড্রাইভার নেমে বনেট তুলে এটা ঠোকে, ওটা টানে। এই করে বেশ কিছুক্ষন বাদে বললে-
“বড়ে ভাইয়া, এ গাড়ী তো জবাব দিয়ে দিল। আমার  নজরে তো কোন কিছু গড়বড় দেখতে পাচ্ছি না। ভাল মেকানিক ডেকে দেখানোর দরকার। মাইল ছয়েক আগে একটা গ্রামে মেকানিকের দোকান দেখেছিলাম, আপনারা গাড়ীতে বসে থাকুন, আমি গিয়ে তাঁকে ধরে নিয়ে আসছি।“
রামুর কথা “ যাবি। যা, নইলে কি আর করা যাবে। কতক্ষন লাগবে?”
“ তা এখন বাজে রাত আটটা, হেটে যাব, মেকানিক কে ওঠাব। তা প্রায় ঘন্টা চার পাচ লেগে যাবে”।
“যা, আর যত তাড়াতাড়ি পারিস ফিরিস। আমরা নাহয় ততক্ষন গাড়িতেই বিশ্রাম নিচ্ছি।“
ড্রাইভারের প্রস্থান। ক্রমে সন্ধ্যা হয়ে অন্ধকার নেমে আসে।
রামু- “ না দেখছি রাতটা গাড়ীতেই কাটাতে হবে”।
সীতা- “ কি মজা। এখানে রাত কাটাব। কিন্তু আমি ড্রেস ছাড়ব কি করে?”
রামু- “ আমি লখুকে বলে দিচ্ছি ওদিক থেকে একটু ঘুরে আসতে। তাছাড়া তোমার টয়লেটে যাবার  তো দরকার পড়বে। সেটা এক সাথেই সেরে এস।“
এক এক করে তিন জনই তাদের নাইটড্রেস পরে নিল। আর পরে ডিকি থেকে খাবারের ডাব্বা বার করে ডিনার সেরে নিল।
রামু- “ সীতা, তুমি গাড়ির পেছনের সীটে লম্বা হয়ে যাও। সামনের সীটে আমি আর লখু পালা করে রেস্ট করে নেব। যখন আমি শোব লখু জেগে পাহারা দেবে আর লখু শুলে পরে আমি পাহারা দেব।“
সীতা-“ কেন? আমি কি পাহারা দিতে পারি না।“
লখু- “বাস, ঐটুকুই বাকী আছে। আধ আলোতে গাছের পাতা নড়ছে দেখে তো ভুত আসছে বলে মনে হবে।“
রামু- “ আর বাহাদুরীতে দরকার নেই। যাও শুয়ে পড়।“
সীতা একবার স্লিপিং ব্যাগে ঢোকার পরে সকালে উঠল। সারা রাত দুই ভাই নিজের গায়ে থাপ্পড় মেরে মশা তাড়িয়ে সকাল হবার পরে একটু ঝিম মেরেছে। হঠাত দূরে ব্যান্ড পার্টির আওয়াজ শুনতে পেয়ে চমকে তাকিয়ে দেখে দূরে একটা গাড়ী সাথে কিছু লোকজন আসছে। একটু বাদে ঠাহর হল যে আসছে সে ভুতু  (ভাই ভরত)। ভরত একটু কাব্য করে কথা বলে। আসলে বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে  পালাগান লেখা  অভ্যেস করছে।
ভুতু- “দাদা মেজদা, কোথা যাও চলিয়া, কাদিতেছে অযোধ্যাপুরী ফুলিয়া ফুলিয়া,
যেও নাক পায়ে ধরি, বউদির চেহারা এ কি হেরি।
কোথা গেল সে পাউডার  চর্চিত মুখশোভা, এক্ষনে দেখাইতেছে যেন পানা ভরা ডোবা।
হাসিওনা তোমরা সবে। আমি আসিয়াছি এবে, ফিরাইতে তোমাদের।“
রামু- “ তা হয় নারে ভাই। হ্যারে মেকানিক এনেছিস সাথে?”
ভুতু-  মেকানিক আনিয়াছি সাথে, কিন্তু কিবা প্রয়োজন তাহার,
আমার গাড়ী লহ কর ব্যবহার।“
লখু- হ্যাঁরে ভুতু। আসার সময় উর্মীকে বলেছিলাম মান্তুকে পেটানর সুপারীর বন্দোবস্ত করতে। তার কি হয়েছে জানিস। কেউ কি এসেছিল পেটাতে?”
সীতা- “ সুপারী বনে কি হবে। পান কে খাবে।”
ড্রাইভার- “বড়ে ভাইয়া, মেকানিক বলছে আর দুঘন্টার মধ্যে গাড়ি ঠিক করে দেবে। তখন রওয়ানা দিলে পরে দিন থাকতে থাকতে বর্ডারে পৌঁছে যাব। বেলা পাচটার পরে আর বর্ডার ক্রশ করতে দেয়না।“
রামু- ‘ অতি উত্তম। ভুতু, তুই আমাদের সাথে বর্ডার পর্যন্ত চল। অযোধ্যার কথা শুনে নেব। অখান থেকে তুই ফিরে আসিস। এ গাড়িটাও তো ফেরত যাবে।“
ভুতু- “ মেজদা তুমি মন দিয়া শোন, মান্তুকে কেহ পিটায় নাই এখনও,
তবে মা আর বড়মার সাথে মেজমার কথা নাই, দেখাইতেছে যেন হইয়াছে ঠাই,ঠাই।”
রামু আর সীতার চোখের কোনে জল।
ভুতু- “ বৌদি, সত্য আমি কহিতেছি শোন। মান্তুকে রাগের চোটে কেহ পিটায় নাই এখনও।
কিন্তু অবিরত গালির ধারায় ভরিতেছে কান, হয়তো গিয়া দেখিব সে ত্যজিয়াছে প্রান।
অযোধ্যাতে রাত্রকালে জ্বলে নাই আলো, অন্ধকার, নিষ্প্রদীপ, কুচকুচে কালো।
সরযুর কুল ছাপি গিয়াছে জলে, এত নয়ন ধারা বহাইতেছে সকলে।
মেজদা হইয়াছ অতি শ্বার্থপর তুমি, দুঃখের সাথে ইহা জানাইতেছি আমি।
মেজবউদি আমার, তোমার উর্মিমালা, কাঁদিতে কাঁদিতে তার ধরে গেছে গলা।
কহিয়াছে মোরে যতক্ষন না ফেরে তোমার মেজদা, করিবনা কোন প্রসাধন যতই না লাগুক ময়লা কাদা।
 যাবার সময় সে শেষ দেখিয়াছে এই বসনে মোরে, বসন বদলাইলে সে যদি চিনিতে না পারে।
সে ফিরিবে কবে তাহা যদি জানিতাম, তবে এই পরিধান সেই দিনই পরিতাম।
আর ভেবেছ কি কোম্পানীর সি ও র চেয়ারে কে বসবে, নাকি কম্পানীটাকে লাটে তুলে দেবে।
দাদা নাহয় এসেছে বাবার কথা শুনে, তুমি ত এসেছ কোন কাজ বিনে।“
সীতাকে—“বউদি, বলত দশটি রুটী বানাইতে কত জল লাগে, কি কি মিশাইতে হয় ঢালিবার আগে।
এর আগে কোনদিন করেছ কি রান্না, লঙ্কার ঝাঝ লেগে পেয়েছে কি কান্না।
এই সন কাজ তোমার দ্বারা নয়, সেই জন্যই তো পাচ্ছি আমি ভয়।
হাতপা পোড়াবে কোন একদিন, এখানের হস্পিটালে নেইকো কেবিন।
ফিরে চল কহিতেছি আমি বারংবার, এর পরে কি করিবে বিচার তোমার।
আসিয়াছিলাম তোমাদের ফিরাইব ঘরে, আমি ফিরিয়া গেলে পস্তাইও না পরে।
দাদা এক কাজ কর, দাও কিছু চিনহ, চেয়ার শূন্য থাকিবে তাহা ভিন্ন।
কাজ কর্ম দেখিব আমি চিনহের নাম লইয়া, লোকে তাহা মানিবে চিনহ দেখিয়া।
রামু- “ নে তবে এটা”। পকেট থেকে তার আই-পড বার করে দেয়।
ভুতু- “ খুব ভাল চিনহ দাদা,
এটার চেয়ে আউর জাদা,
কি দিতে পার এখন,
বনেতে রয়েছ যখন”।
আই-পড লইয়া ভুতুর প্রত্যাবর্তন। রামু, লখু এবং সীতার বর্ডারের দিকে গমন।
ভরত মিলাপ সমাপ্ত।
   

শনিবার, ১৮ মে, ২০১৩

ভারতের গাঁজা যুদ্ধ প্রথম



কাগজে সংবাদ  যে মারিজুয়ানা থেকে ডায়াবেটিসের ওষুধ পাওয়া গেছে। এই সংবাদের উপর এই হাস্য কবিতার সৃষ্টি।

 
ডাক্তারেরা বিশদ গবেষণা করে বলেছেন

গাঁজা মোটেই খারাপ নয়

কেননা এটা সুগারের রোগ সারায়।

কি ভাবে সুগার কমায় সেটা তাঁরা এখনও খুজছেন,

পেলে পরেই গাঁজা কি ভাবে কাজ করে সেটা জানাবেন।

খবরটা শুনেই দাশু কাকা মারলেন একখানা লাফ

"এ খবরটা আগে কেন বলিসনি বাপ।

গেজেল বন্ধু তো আমার অনেক আছে,

রোজই যেতাম তা হলে তাদের কছে।

দরকার হতনা আর ছুঁচ ফোটাবার,

সারা দিনে অতগুলো ট্যাবলেট নেবার।

সুগারের মাত্রা বুঝে কটা টান দেব সেটা ঠিক হবে

ওষুধের দোকানে এবার ছিলিম আর গাঁজা পাওয়া যাবে।

গেঁজেল বাঁ গেজুরে বলে আর কেউ দেবেনা টিটকারী,

প্রিভেন্টিভ মেডিসিন হিসাবে লোক নেবে শিগগিরি।

দেশে এখন আছে প্রায় পঁচিশ কোটি সুগারের চলমান ফ্যাক্টরী,

সংখ্যাটাকে কমানোর জন্য সরকার নিচ্ছে তৈয়ারি।

এতদিন কোম্পানি গুলো আমাদের মাথায় ভেঙ্গেছে কাঁঠাল,

এইবার বুঝবে তারা কত ধানে হয় কত চাল।

প্রত্যেক বাড়ীতে দুটো করে গাঁজার গাছ লাগালে,

পাতাগুলো পাচ্ছ তুমি হাতেরই নাগালে।"

দাশু কাকাকে বললাম, "অত আনন্দ নয়

কোম্পানিগুলো কি এত সহজে বাজারটা ছেড়ে দেয়।

নিশ্চয় তারা বার করবে কোন না কোন উপায়,

দরকার পড়লে গবেষনার রেজাল্টও উলটে দেওয়া যায়"।

কাকা বললেন, "মানি রে আমি সবই মানি,

এর পরে যে কি হতে পারে তাও আমি জানি।

লাগবে লড়াই একটা আবার চিনের আফিম যুদ্ধের মতন,

খালি নাম তার হবে ভারতের গাঁজা যুদ্ধ প্রথম"।

আকুর্লি

১৮-০৫-১৩

শুক্রবার, ১৭ মে, ২০১৩

অষ্টাদশবর্ষীয় পরিকল্পনা

আজ সকালে কাগজে দেখলাম লন্ডনের এক মহিলা তার বাচ্চার জন্মানর আগেই বেবী শো তে ভাগ নেবার জন্য নাম লিখিয়ে দিয়েছেন। সেই সম্বন্ধে এই চুটকী কবিতা।

 

মিতার এখন সাত মাস চলছে, জেনেছে হবে কন্যা,
লোকে করে হায়রে, ওর ঘরে খূসীর বন্যা।
শহরে ওর প্রত্যেক বছর এক সুন্দরীর মেলা হয়,
তার জন্য কিন্তু অনেক আগেই নাম লেখাতে হয়।
কিন্তু সুন্দরীর বয়স হতে হবে এক বছরের কম,
পুরস্কারের রাশিটা বলে নয়তো মোটেই কম।
অষ্টাদশী হওয়া পর্যন্ত যত প্রসাধন চাই,
দরকার মাত্রই কোম্পানীরা করবে সাপ্লাই
তাই হবু কন্যার নাম লেখাতে বাধাটা আর কোথায়,
ওর যে মেয়ে হচ্ছেই, তাই করেনি কোন অন্যায়,
মা হতে ওর যদিওবা দেরী হয়
নিশ্চয় সেটা এক বছরের চেয়ে বেশী নয়।
তার মধ্যে একটা শুভ মুহূর্ত দেখে
করে নেবে অপারেশন ডাক্তার কে ডেকে।
হবার পর থেকেই ওকে ট্রেনিং দিতে হবে,
খাওয়া, শোয়া, কান্না এসব করবে কি ভাবে।
তার জন্য স্কুল আছে, চিন্তার কিছু নাই।
কর্তা হয়েছে রাজী দিতে লাখ আড়াই।
একবার যদি সিলেক্টেড হয়, প্রাইজ ছাড়াও আর,
মডেলিং করার জন্য পাবে দেদার অফার।
জামা কাপড় কম পড়েই যদি দেয় কয়েক লাখ,
আরও কম পড়াবে সে দামটা বাড়তে থাক।
স্কুল থেকে ওকে দিয়েছে এক লিস্টি
এটা খাবে, ওটা করবে, আর খাবে নাক মিষ্টি।
তার পর সিলেকশনের আগে ক্রীম, পাউডার, লোশন
অনেক কিছু কিনতে হবে সেটাই তো ফ্যাশন।
একটা কথা তোমাকে বলছি আমি গোপনে,
ফার্ষ্ট করার জন্য লিঙ্ক লাগিয়েছে ওখানে
তোমার প্রডাক্ট লঞ্চ করতে পয়সা কম নেবে
কাউকে কিন্তু এ কথা বলনা তুমি তবে।।
আকুর্লি
১৭-০৫-১৩

 

সোমবার, ১৩ মে, ২০১৩

মাছির উপর কাব্য

 



কাল লিখেছি মশার উপর, আজকের বিষয় মাছি
নাকের সামনে এলেই পরে পায় যে আমার হাচি,
হাঁচব নাক পণ করেছি, নাকটা টিপে ধরি
উল্টোদিকে দশ নয় আট গুনতে শুরু করি
দুদিন ধরে বাইরে শুয়ে ঠান্ডা লেগে গেছে
নাক বন্ধ, কথাগুলো আলাদা হয়ে আছে
এর পরে যদি হাঁচি আসে, ভীষণ বিপদ হবে,
পকেটের রুমাল বের করতে অনেক সময় নেবে।
ততক্ষন আমি নাকটা টিপি বাঁ হাতটা দিয়ে
ডান হাত পকেটা গেছে বেরোবে রুমাল নিয়ে,
ভুল করে যে ঐ পকেটেই আরও কিছু রেখেছিলাম
রুমাল বেরোনর রাস্তায়, এবার ঘটাচ্ছে তারা জাম।
আটকাল না ,”হ্যাচ্চো” করে দিলাম আমি হেঁচে
মাছিটাও পালিয়ে গেল হাচির চোটে বেঁচে
রুমালটা পুরো ভিজে গেল, মুছতে নাকটা আমার
বিপদ হবে যদি আমার হাঁচি আসে আবার
ভেজা রুমাল পকেটে পুরে নাক পুছলাম হাত দিয়ে
লাল করে ফেলেছি আমি নাকটাকে রগড়িয়ে
বন্ধ করি রগড়ানো, করছে ভীষন জ্বালা
ওরে মাছি তুই এবার আমায় ছেড়ে পালা
মাছি আর মৌমাছি একই গোত্রের জন্তু
দুটোকেই দেখলে ভয় লাগে কিন্তু
ক্লাস সেভেনে লিখেছিলাম বাংলা খাতায়
মৌমাছির মৌ বার করে নিলে সেটা মাছি ...
মৌ ওয়ালা মৌমাছির হুলের জ্বালা বেশী
হুল নেই তবুও কি মাছির সামনে আসি,
মৌ ওয়ালা মাছি তাও মধু বানায়


 
 
আর মৌ ছাড়া মাছি শুধু রোগই ছড়ায়।।
 
 
 
 

রবিবার, ১২ মে, ২০১৩

শুকাপুরের মশা

 

শুকাপুরের মশা

কামড় মেরে মেরে আমায় চেঞ্জ করালো বাসা,
চুলকে চুলকে উঠে গেল সারা গায়ের খোসা,
শুকাপুরের মশা,
দিনের বেলায় আছে তাদের অবিরত আসা,
পিঁ পিঁ করে কি যে বলে বুঝি নাতো ভাষা,
ঝাক বেঁধে এরা আসে যখন
মনে হয় যেন লেগেছে গ্রহণ
বাচার উপায় হচ্ছে তখন
মশারী ফেলে বসা
শুকাপুরের মশা।
সারা দিনই গুডনাইট জ্বলে
জানলা বন্ধ সন্ধ্যা হলে
ফেল করেছে সব গুলোই, জিতে যাচ্ছে মশা
শুকাপুরের মশা।
বাড়ী এখন চেঞ্জ করেছি
দরজা জানলাতে জাল ঠুকেছি
কামড়াবি তুই কেমন করে
ওরে ব্যাটা মশা
প্রবেশ নিষেধ লেখা আছে
আসিস না তোরা আমার কাছে
থাকনা কেন নিজের ঘরে
ওরে কামড়বাজ মশা
শুকাপুরের মশা।।
আকুর্লি
১২-০৫-১৩

 

শুক্রবার, ১০ মে, ২০১৩

কারেন্ট কেন গেল ?

 
 
শুতে গেলাম তখন বাজে রাত বারটা
কারেন্ট টা চলে গেল রাত তখন বোধ হয় একটা,
ভীষন গরম, করি ছটফট
মাথায় চিন্তা আসে উদ্ভট,
ঘুম তো আর এলনারে ভাই
ভোর না হতেই উঠে পড়লাম তাই
ভাবলাম লিখে ফেলি চিন্তা গুলো
ক'ঘন্টা বাদে কি আর মনে পড়বে ওগুলো?
খাতা কলম নিয়ে লিখতে বসলাম
আরে ভাই, কারেন্ট থাকলে তো নেটেই লিখতাম।
কারেন্ট তো চলে গেল কিন্তু কোথায় গেল?
কেন গেল আর কেনই বা এখন ফিরে এল?
কিসের লোভে গিয়েছিল ?
নাকি বিরোধী পক্ষ অপহরণ করেছিল?
না কেউ ওকে ঘুষ দিয়েছিল?
গেল যদি রাত একটায়, আগে কি পরে নয় কেন?
মনে সন্দেহের অবকাশ রেখে গেল কেন?
রাজ্য সরকার কি এ নিয়ে তদন্ত করবেন?
বিরোধী পক্ষ কি তাতে রাজী হবেন?
সি বি আই না সি আই ডি,তদন্ত কাকে দিয়ে হবে?
এনিয়ে কি কোন পি আই এল মামলা হবে?
এ চিন্তা গুলোর কোন জবাব না পেলাম
ভাবত ভাবতে মাথা হয়ে গেছে জাম।
কারেন্ট এসে গেছে, এবার শুখোবে ঘাম
তাই লেখাটাও এখানে শেষ করলাম।
আকুর্লি
১০-০৫-১৩
 
 

বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০১৩

নতুন ছাত্রের প্রশ্ন


 
গত এক মাস ধরে আমার একটি ছাত্র আসছে

শান্ত শিষ্ট, তবে ল্যাজ বিশিষ্ট নয়

কেননা আমাকে সে ভয় পাবার বদলে

তাকে দেখলেই আমার ভয় হয়।

তাঁর প্রশ্নের ঠ্যালায় আমার প্রাণ ওষ্ঠাগত

উত্তর দিতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে আমার অবিরত

বলে স্যার,

একটা লোক পৃথিবীর এদিক থেকে ওদিক ফুটো করলে

আর তাঁর ভেতরে পা পিছলে পরে গেলে

সে কি ওপারে গিয়ে উঠতে পারবে

না মাধ্যাকর্ষণ শক্তির জন্যে

এদিক থেকে ওদিক মাকুর মত চলতে থাকবে।

আমি বলি, ওরে থাম

আগে সে পৃথিবীর কেন্দ্রের তাপ থেকে বাচাক তাঁর প্রাণ

যেখানে পাথর অবধি গলে হয়েছে জলের মত তরল

সে জায়গা পেরিয়ে যাওয়া কি অতই সরল।

অতএব ফলাফল অনির্ণীত রয়ে গেল

যতক্ষন না সে নতুন প্রশ্ন এনে দিল

নতুন প্রশ্ন এল ভীষন কঠিন

উত্তর দিতে পেয়েছি সময়  তিন দিন

বলে স্যার,

পড়া না পারলে আপনি যখন আমার গালে  মারেন চড়

নিউটনের সূত্র ধরে

আপনার হাতের গতিবেগের সাথে গুন করে

আপনার হাতের ভর

আমার গালের গতিবেগের সাথে গুন করে

আমার গালের ভর

দুটোকেই সমান মানা যেতে  পারে।

তাই যদি হয়

তবে আমি যখন চড় খেয়ে কাদি

তখন আপনাকেও কিছুটা কাদতে হয়।

আজ হয়েছে শেষ তিনদিন সময়

তাই মনে ঢুকেছে ভীষণ ভয়

ছেলেটা রোজ জীমে যায়, ভাল মন্দ অনেক কিছু খায়

তাই আমার গালের ভর ওর হাতের থেকে অনেক কম

যদি করে পরীক্ষা, তবে আমার বেড়িয়ে যাবে দম

ধরে নিস এটা আমার বসীয়তনামা

পারলে ওটাকে তোরা ধরে থামা

আর না পারলে লিখে ফেল দুপাতা ওবিট

শিক্ষক হিসাবে আমি হয়ে গেছি মিসফিট।।

আকুর্লি

২৫-০৪-১৩

 

 

 

নতুন ছাত্রের প্রশ্ন


 
গত এক মাস ধরে আমার একটি ছাত্র আসছে

শান্ত শিষ্ট, তবে ল্যাজ বিশিষ্ট নয়

কেননা আমাকে সে ভয় পাবার বদলে

তাকে দেখলেই আমার ভয় হয়।

তাঁর প্রশ্নের ঠ্যালায় আমার প্রাণ ওষ্ঠাগত

উত্তর দিতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে আমার অবিরত

বলে স্যার,

একটা লোক পৃথিবীর এদিক থেকে ওদিক ফুটো করলে

আর তাঁর ভেতরে পা পিছলে পরে গেলে

সে কি ওপারে গিয়ে উঠতে পারবে

না মাধ্যাকর্ষণ শক্তির জন্যে

এদিক থেকে ওদিক মাকুর মত চলতে থাকবে।

আমি বলি, ওরে থাম

আগে সে পৃথিবীর কেন্দ্রের তাপ থেকে বাচাক তাঁর প্রাণ

যেখানে পাথর অবধি গলে হয়েছে জলের মত তরল

সে জায়গা পেরিয়ে যাওয়া কি অতই সরল।

অতএব ফলাফল অনির্ণীত রয়ে গেল

যতক্ষন না সে নতুন প্রশ্ন এনে দিল

নতুন প্রশ্ন এল ভীষন কঠিন

উত্তর দিতে পেয়েছি সময়  তিন দিন

বলে স্যার,

পড়া না পারলে আপনি যখন আমার গালে  মারেন চড়

নিউটনের সূত্র ধরে

আপনার হাতের গতিবেগের সাথে গুন করে

আপনার হাতের ভর

আমার গালের গতিবেগের সাথে গুন করে

আমার গালের ভর

দুটোকেই সমান মানা যেতে  পারে।

তাই যদি হয়

তবে আমি যখন চড় খেয়ে কাদি

তখন আপনাকেও কিছুটা কাদতে হয়।

আজ হয়েছে শেষ তিনদিন সময়

তাই মনে ঢুকেছে ভীষণ ভয়

ছেলেটা রোজ জীমে যায়, ভাল মন্দ অনেক কিছু খায়

তাই আমার গালের ভর ওর হাতের থেকে অনেক কম

যদি করে পরীক্ষা, তবে আমার বেড়িয়ে যাবে দম

ধরে নিস এটা আমার বসীয়তনামা

পারলে ওটাকে তোরা ধরে থামা

আর না পারলে লিখে ফেল দুপাতা ওবিট

শিক্ষক হিসাবে আমি হয়ে গেছি মিসফিট।।

আকুর্লি

২৫-০৪-১৩