মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪

পূজার কথা

ভাবতে ভাবতে অশোক দেখতে পেল দূরে পূজা তার হাতটা উঁচু করে দেখতে দেখতে সাড়ে দশটা বেজে গেল। এতক্ষনে নিশ্চয়ই এসে যাবার কথা। তবে কি আসতে নাড়তে নাড়তে আসছে। ঠিক আসছে না বরং বলা যায় দৌড়চ্ছে। পরনে একটা গাঢ় নীল রঙের উপর জরির কাজ করা কামিজ আর মেরুন রঙের একটা সালোয়ার।
প্রথম কথা হল, সরি, চটীটা বিট্রে করে দিল। আর আটটা ছাব্বিশ লেট করে প্রায় পঞ্চাশে ঢুকেছে। তুমি কতক্ষণ দাঁড়িয়ে আছ?
অশোক মওকা পেয়ে বলে, তা প্রায় এক ঘন্টা।
এত আগে কি করতে এসেছ। অন্য কারুর জন্য এসেছিলে বুঝি? ছদ্ম রাগে পূজার জিজ্ঞাসা।তার পরেই প্রশ্ন, কোথায় যাবার প্ল্যান হয়েছে শুনি। সন্ধ্যের আগেই কিন্তু বাড়ীতে ঢুকতে হবে। মাকে কোন রকমে বুঝিয়ে বাবাকে ম্যানেজ করার কথা বলে এসেছি।
আরে এত ভয় পেলে কি প্রেম করা চলে। ইতনা তো তুম ডরোগী, তুম প্যার ক্যায়সে করোগী।
পুজা বলে, হয়েছে, হয়েছে, আর শারুখ খান হতে হবেনা। বল না কি প্রোগ্রাম।
চল আজকে তোমাকে বৌদির কাছে নিয়ে যাই।
চমকে উঠে পূজা জিজ্ঞেস করে বউদি, কে বৌদি, আমি চিনি কি।
আরে আগে থাকতে চেনার কি দরকার। আমাকে কি আগে চিনতে? তবুও ফর ইয়র ইনফরমেশন, দিস বৌদি ইস মাই মাসতুতো দাদার বৌ, বলতে পার মাই গাইড অন প্রেম।
নিজে তার কর্তাটিকে যে কি সুন্দর ভাবে লটকে নিলেন তা চিন্তাও করতে পারবে না। আমরা ভেবেছিলাম এ প্রেম ভেস্তে যাবে। বাড়ীর আপত্তি দু দিকেই। কিন্তু উইদিন ওয়ান ইয়ার দু পক্ষেই মেনে নিয়েছে। দেখি আমাদের ব্যপারে কি সলা দ্যায়। বলেছে নিয়ে এস, দেখি তার পরে কি করব তা নিয়ে চিন্তা।
পুজা মাথা নীচু করে বলে, আমার কিন্তু ভয় করছে। শেষ কালে যদি বলে দেন যে হবে না, তাহলে কি তুমি আমাকে আর ভালবাসবে না। আমি কিন্তু কিছুতেই মেনে নেব না।
অশোক বলে আমি কি তাই বলেছি নাকি। যদি বৌদি বাড়ীতে কিছু করে ম্যানেজ করতে পারেন। তোমার বাবার থেকে তো না বলেই ধরেই নিয়েছি। আমার এদিকে বাবা রাজী হলেও মার দিক থেকে একটু কিন্তু কিন্তু ভাব আছে।
পুজা বলে। আমার মাকে তো আমি ম্যানেজ করেছি, তোমার ফটো দেখিয়েছি। তুমি পাশ, কিন্তু বাবা ইজ দি ফাইনাল অথরিটী। তাঁর স্যাংশন না হলে হবে না। মাঝখান থেকে টাইম বরবাদ হচ্ছে।
কথা বলতে বলতে দুজনে ষ্টেশনের বাইরে বেড়িয়ে একটা লেকটাউনের মিনি ধরল।
চলবে-----






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন