সোমবার, ১৩ মে, ২০১৩

মাছির উপর কাব্য

 



কাল লিখেছি মশার উপর, আজকের বিষয় মাছি
নাকের সামনে এলেই পরে পায় যে আমার হাচি,
হাঁচব নাক পণ করেছি, নাকটা টিপে ধরি
উল্টোদিকে দশ নয় আট গুনতে শুরু করি
দুদিন ধরে বাইরে শুয়ে ঠান্ডা লেগে গেছে
নাক বন্ধ, কথাগুলো আলাদা হয়ে আছে
এর পরে যদি হাঁচি আসে, ভীষণ বিপদ হবে,
পকেটের রুমাল বের করতে অনেক সময় নেবে।
ততক্ষন আমি নাকটা টিপি বাঁ হাতটা দিয়ে
ডান হাত পকেটা গেছে বেরোবে রুমাল নিয়ে,
ভুল করে যে ঐ পকেটেই আরও কিছু রেখেছিলাম
রুমাল বেরোনর রাস্তায়, এবার ঘটাচ্ছে তারা জাম।
আটকাল না ,”হ্যাচ্চো” করে দিলাম আমি হেঁচে
মাছিটাও পালিয়ে গেল হাচির চোটে বেঁচে
রুমালটা পুরো ভিজে গেল, মুছতে নাকটা আমার
বিপদ হবে যদি আমার হাঁচি আসে আবার
ভেজা রুমাল পকেটে পুরে নাক পুছলাম হাত দিয়ে
লাল করে ফেলেছি আমি নাকটাকে রগড়িয়ে
বন্ধ করি রগড়ানো, করছে ভীষন জ্বালা
ওরে মাছি তুই এবার আমায় ছেড়ে পালা
মাছি আর মৌমাছি একই গোত্রের জন্তু
দুটোকেই দেখলে ভয় লাগে কিন্তু
ক্লাস সেভেনে লিখেছিলাম বাংলা খাতায়
মৌমাছির মৌ বার করে নিলে সেটা মাছি ...
মৌ ওয়ালা মৌমাছির হুলের জ্বালা বেশী
হুল নেই তবুও কি মাছির সামনে আসি,
মৌ ওয়ালা মাছি তাও মধু বানায়


 
 
আর মৌ ছাড়া মাছি শুধু রোগই ছড়ায়।।
 
 
 
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন